মুক্তি কক্সবাজার এর বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ

পরিবারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে: ইউএনও মিল্টন রায়

প্রকাশ: ৭ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:৪৩ , আপডেট: ৭ অক্টোবর, ২০২১ ১০:৫৭

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেছেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে অধিক জোর দিয়েছেন। একজন নারী যখন আয় করবেন, পরিশ্রম করে সংসারে সহযোগিতা করবেন তাহলে সেই পরিবারে ওই নারীকে সবাই গুরুত্ব দিবেন। আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে হলে এতদিন নেয়া প্রশিক্ষণকে কাজে লাগাতে হবে। পরিবারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজার বাসটার্মিনালস্থ লার পাড়া বিএনপিএস অফিস প্রাঙ্গণে মুক্তি কক্সবাজার আয়োজিত গ্রামীন দুস্থ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৫০দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরন করা হয়।

ইউএনওমেন এবং অক্সফাম এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায়, মুক্তি কক্সবাজার বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার সদর উপজেলার ৩০জন নারীকে ৫০দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের সবাইকে বিনামূল্যে একটি করে সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়।

মুক্তি কক্সবাজার এর প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে সরকার’র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়।

বক্তব্য রাখেন ইউএনওমেন ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত জহির, মুক্তি কক্সবাজার এর সহ-সভাপতি অধ্যাপক জেবুননেছা, অক্সফাম এর হেড অব অপারেশন আশুতোষ দে, কক্সবাজার সদর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুব্রত কুমার বিশ্বাস, বিএনপিএস প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহিদা পারভিন।

উপস্থিত ছিলেন অক্সফাম এর সিনিয়র ইএফএসভিএল অফিসার খন্দকার জাহিদ, মুক্তি কক্সবাজার এর প্রকল্প সমন্য়কারী যথাক্রমে প্রফুল্ল কুমার সরকার, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ফয়সল মাহমুদ সাকিব এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে দক্ষিণ ডিককুল এলাকার স্বামী পরিত্যক্ত গৃহকর্মী সাজেদা বেগম জানান, তার স্বামী তাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেছেন। কয়েকজন সন্তান নিয়ে তিনি গৃহকর্মীর কাজ করে জীবন যাপন করেন। ৫০দিনের এই প্রশিক্ষণ পেয়ে তিনি নিজে কিছু কাজ করে আয় করতে পারবেন। এই জন্য মুক্তিকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

পূর্ব লারপাড়া গ্রামের মোকাররমা সিদ্দিকা জানান, তার স্বামী ৭বছর আগে মারা যায়। অনেক কষ্ট করে জীবন চলছে। বাবার বাড়ি আর শশুড় বাড়ি থেকে কোন সহযোগিতা পায় না কখনো। গৃহকর্মীর কাজ করত এতদিন। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি স্বাবলম্বী হয়ে চলতে পারবেন। একটা টেইলারিং দোকান খুলবেন। ফ্রি একটা সেলাই মেশিন দেয়ায় মুক্তিকে ধন্যবাদও জানান তিনি।