সিবিএন ডেস্ক:
চিকিৎসায় নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড জুলিয়াস ও আরডেম পটাপৌটিয়ান। ডেভিড জুলিয়াস চিকিৎসা শাস্ত্রের শরীরতত্ত্বে এবং আর্ডেম পটাপৌটিয়ান মেডিসিনে বিশেষ অবদান রাখায় এ পুরস্কার পেলেন। মানবদেহে তাপমাত্রা ও স্পর্শের রিসিপটর আবিষ্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তারা।

সোমবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ বছরের বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে।

এই বছরের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শরু হয়েছে আজ থেকে। আগামী সোমবার (১১ অক্টোবর) অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে চলতি বছরের ছয়টি শাখায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। আগামী শুক্রবার চলতি বছরের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে।

ডিসেম্বরে বিজয়ীদের দেওয়া হবে পদক, সনদ ও অর্থ। তবে, করোনা মহামারির কারণে এবার বিজয়ীরা নিজ নিজ দেশে বসেই পুরস্কার নেবেন।

সুইডিস বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেল বিশ্বের সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তন করেন। তিনি ডিনামাইটসহ ৩৫৫টি বিষয় উদ্ভাবন করেন। এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছিলেন তিনি। অর্জিত সব অর্থ দান করে ১৮৯৫ সালে একটি উইল করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯০১ সাল থেকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ও শান্তি—এই পাঁচটি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ১৯৬৯ সালে ‘অর্থনীতি’ বিষয়টি নোবেল পুরস্কারের ক্ষেত্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

নোবেল পুরস্কার বিজয়ীকে পদক, সনদ ও মোটা অঙ্কের অর্থ দেওয়া হয়। ১৯৮০ সালের আগ পর্যন্ত নোবেল বিজয়ীরা যে পদক পেতেন, সেটা ছিল ২৩ ক্যারেট সোনার। এর পর থেকে ১৮ ক্যারেট সবুজ সোনার ধাতবের ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া পদক দেওয়া হচ্ছে। অর্থের পরিমাণ ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা।