আনোয়ার হোছাইন ঈদগাহ:
কক্সবাজার সদরের সিংহভাগ জনসংখ্যা অধ্যূষিত এলাকা বৃহত্তর ঈদগাহ’র লাখো জনগোষ্টি ঈদগাহকে পৃথক উপজেলা ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবি করে আসছিল।অতীত ও বর্তমানের সাংসদসহ জনপ্রতিনিধিরা জনগণকে আশার বাণী শুনিয়ে আসলেও বারবার তা আলোর মুুুখ দেখেনি।সর্বশেষ বিগত মাস দুয়েক পূর্বে চকরিয়া উপজেলা থেকে মাতামুহুরী নামের পৃথক উপজেলা গঠন সংক্রান্ত স্থানীয় সরকারের একটি পত্র জারি হয়।যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।এ সংবাদে বিভিন্ন মাাধ্যমে ঈদগাহ’র জনগণ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় অত্র আসনের সাংসদ, বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও পদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
সমালোচনার মুখে নড়েচড়ে উঠে সংশ্লিষ্টরা। উক্ত পত্র জারির কয়েকদিনের মধ্যে ঈদগাহ’কে পৃথক উপজেলা গঠন সংক্রান্ত প্রাথমিক পত্র জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।এ সংবাদে লাখো জনগোষ্টির মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। আশায় বুক বাঁধে অচিরেই উপজেলা বাস্তবায়ন হলে এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হবে।কিন্তু স্বপ্নের অধরা উপজেলার পরিবর্তে আচমকা প্রশাসনিক থানা বাস্তবায়নের সংবাদে সাধারণ জনগণের মাঝে চরম হতাাশা ও ক্ষুব্ধতা বিরাজ করছে।
অনেকে উপজেলার পরিবর্তে থানা ঘোষণার মধ্যে কতিপয় লোকের পেছনের দরজার ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজছেন। যেসব লোকের কাছে থানা অনুমোদনের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছি, তারা ক্ষোভের সাথে ঈদগাহবাসীর আশা আকাংখার প্রতিফলন হয়নি বলে জানান।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে কক্সবাজার সদরের (উত্তরাংশ) বৃহত্তর ঈদগাঁহকে থানা হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার)।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সভায় এই প্রস্তাবসহ মোট ১৫টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে নিকার। এর মধ্যে একটি নতুন পৌরসভা গঠন, সাতটি পুলিশি থানা গঠনসহ বিভিন্ন পৌরসভা সম্প্রসারণ প্রস্তাব রয়েছে। তবে নতুন ঈদগাহ থানা কতটি ইউনিয়ন নিয়ে বাস্তবায়ন হবে এবং তার সীমা রেখা সরকারি গেজেট প্রকাশ হলে তা জানা যাবে।