ক্রীড়া ডেস্ক:
রোববার রাতে এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফগানিস্তানকে তিন রানের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। জয় দিয়েই দিনটি বিশেষ করে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ম্যাচে দারুণ শুরু করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায় কাঁটা পড়েন রানআউটের ফাঁদে পড়ে।

তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে খুব একটা সুবিধে করতে না পারলেও ম্যাচ শেষে জয়ের আনন্দে অন্য সবার চেয়ে বেশিই আপ্লুত হয়েছেন উইকেটরক্ষক এ ব্যাটসম্যান। আফগান ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ শেনওয়ারি শেষ বলটি মিস করতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন মুশফিক। বার কয়েক নেচে ফেলেন ডুয়াইন ব্রাভোর ‘চ্যাম্পিয়ন ড্যান্স’।

মুশফিকের এ বাড়তি আনন্দের বিশেষ কারণও অবশ্য রয়েছে। রোববার রাতে প্রাপ্য এ জয়ের পরদিনই যে মুশফিকুর রহিমের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী। ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখেই সতীর্থ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শ্যালিকা জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মুশফিক। চলতি বছরের ৫ই ফেব্রুয়ারি তারিখে এ দম্পতির কোলজুড়ে পৃথিবীতে এসেছে তাদের প্রথম সন্তান শাহরুজ রহিম মায়ান।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে নিজের স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বিশদ এক বিবৃতি দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। জাগোনিউজের পাঠকদের জন্য তা অনুবাদ করে দেয়া হলো নিচে:

‘সত্যি করে বললে আমি অনেক বেশি ভাগ্যবান যে তোমাকে আমার অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে পেয়েছি প্রিয়তমা। যদিও আমি তোমার জন্যে যথেষ্ট করতে পারিনি। তবে সর্বশক্তিমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সবাই হয়তো বলবে তুমি আমাকে স্বামী হিসেবে পেয়ে ধন্য হয়েছো, তবে সত্যটা পুরোপুরি উল্টো। আমি অনেক বেশি সৌভাগ্যবান যে তোমাকে আমার স্ত্রী হিসেবে পেয়েছি।

সৃষ্টিকর্তা তোমার মাধ্যমে আমাদেরকে শ্রেষ্ঠ উপহার, আমাদের সন্তান, আমাদের নয়নের মণি মায়ানকে দিয়েছেন। তুমি শুধুমাত্র একজন স্ত্রী নও, তুমি সত্যিকারের একজন চ্যাম্পিয়ন। আমি তোমার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, কিভাবে কিছু গুছিয়ে নিতে হয়, ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে আমার সাথে থাকার জন্য ও আমাকে সহ্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি আমরা যেন মৃত্যুর পরে জান্নাতেও একসাথেই থাকতে পারি। বিবাহবার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয়তমা। তুমি জানো আমি তোমাকে কতোটা মিস করছি।’