খালেদ হোসেন টাপু, রামু:
রামু-কক্সবাজার আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, সত্যিকারের সুশিক্ষাই শিক্ষার্থীদের কাংখিত বিজয় এনে দেয়। প্রত্যেক অভিভাবকরা সন্তানদের ভালো ফলাফল আশা করেন। কিন্তু সন্তানদের দৈনন্দিন চলাফেরা ও আচরণ নিয়ে অভিভাবকরা থাকেন উদাসীন। যে কারনে অনেক শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল অর্জন এবং সৎ চরিত্রের অধিকারি হতে পারে না। শিক্ষার্থীদের মাদক যেন স্পর্শ না করে। আমি নিজে কখনো মাদকাসক্তদের পশ্রয় দিইনি। অন্যরাও যেন না দেয়।

রামুতে প্রজন্ম’৯৫ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ কমল এ কথা বলেন।

শুক্রবার (২৯ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রামু স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার বিজয় মঞ্চে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, প্রজন্ম’৯৫ এর সভাপতি ফয়সাল ওবাইদ রুমেল।

সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আমিন মোরশেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাং শাজাহান আলি, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব, প্রজন্ম’৯৫ বৃত্তি পরীক্ষা’১৭ এ পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রজন্ম’৯৫-এর উপদেষ্ঠা বদিউল আলম পাভেল, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন রামু উপজেলা সভাপতি মাষ্টার মোহাম্মদ আলম, কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিশোর বড়–য়া, বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইজত উল্লাহ, রাজারকুল মনসুর আলী সিকদার আইডিয়্যাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাশেম, একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, চাকমারকুল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে প্রজন্ম’৯৫ এর সদস্য সম্প্রতি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনকারি ডা. আছিংকে সংবর্ধিত করা হয়। অতিথিবৃন্দ তাকে ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বৃত্তি পরিচালনা পর্ষদের আহবায়ক পিপলু বড়–য়া কমল। শুরুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, প্রজন্ম’৯৫ মেধা পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারি বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব দত্ত। কৃতি শিক্ষার্থী অর্ণব দত্ত নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য রনতোষ দত্ত ও গৃহিনী তাপসী দত্ত’র ছেলে।

অনুষ্ঠানে সাংসদ কমল আরো বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে রামু অনেক এগিয়েছে। খেলাধুলা ও সংস্কৃতিতেও রামুর শিক্ষার্থীর কৃতিত্বের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে রামুতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিলো ৫টি। স্বাধীনতার পর থেতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিলো ১২টি। আর বিগত সাড়ে তিন বছরে রামু উপজেলায় নতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১১টি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাং শাজাহান আলি বলেন, প্রজন্ম’৯৫ এর প্রতিটি কর্মকান্ড অনুকরণীয় ও প্রশংসার দাবি রাখে। এ সংগঠন রামুতে মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে। যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর আগামী নির্মাণে ভূমিকা রাখছে।

জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব ও প্রজন্ম’৯৫-এর উপদেষ্ঠা বদিউল আলম পাভেল বলেন, রামুর শিক্ষার মান আগের মতো নেই। ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান নি¤œগামি। এভাবে চলতে থাকলে রামুর আগামী প্রজন্ম সঠিক মেধাহীন হবে। তাই অনতিবিলম্বে শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য রামুর জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি নেতৃবৃন্দকে বৃহত্তর উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে।

সদস্য সচিব মোহাম্মদ নজিবুল আলম জানান, রামুর প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠন প্রজন্ম’৯৫ শিক্ষা ট্রাষ্ট চতুর্থ বারের মতো সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ বৃত্তির আয়োজন করে। বৃত্তি পরীক্ষায় বাঁকখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অর্ণব দত্ত (প্রথম) ও ছৈয়দা মারুফা নূরী (দ্বিতীয়) এবং রামু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে আফরাজ ছিদ্দিকী রুহি (তৃতীয়) ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করে।

এছাড়া সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে ইমদাদুল হক মিলন (রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়),মো. শাকিল (মনসুর আলী সিকদার আইডিয়াল স্কুল),সাইফুল ইসলাম (কাউয়ারখোপ হাকিম রকিমা উচ্চ বিদ্যালয়),উম্মে হাবিবা (চাইল্যাতলী এ.কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়),সোমাইয়া তাবাচ্ছুম সানিয়া (নাদেরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়),সাজেদা আক্তার জোয়ারিয়ানালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়), ও তামজিদ হোসাইন জিসান (চাকমারকুল উচ্চ বিদ্যালয়)।