শেফাইল উদ্দিন :
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে প্রবীণ পত্রিকা বিক্রেতা শেফালী পাল (৮৬)–এর বাড়ির সামনের চলাচলের রাস্তা দখল করে ছাঁদ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। জবরদখলকারীদের হামলা ও ধারাবাহিক হুমকিতে শেফালীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঈদগাঁও ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকার মৃত রবীন্দ্র রুদ্রের স্ত্রী শেফালী পাল দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে পত্রিকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সম্প্রতি তার বাড়ির সামনে চলাচলের রাস্তার পাশে মার্কেট নির্মাণ শুরু করেন পার্শ্ববর্তী বিমল চৌধুরীর ছেলে বিধু ভোষন চৌধুরী, যিনি স্থানীয়ভাবে ‘বিধু মিস্ত্রী’ নামে পরিচিত।
দোকান নির্মাণ শেষে গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই রাস্তার উপর ছাঁদের ঢালাই কাজ শুরু করে বিধুর লোকজন। এতে শেফালীর চলাচলের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে শেফালী ও তার পরিবার প্রতিবাদ জানায়। অভিযোগ রয়েছে—এ সময় বিধু ভোষন ও তার ছেলে সঞ্জিতের নেতৃত্বে ২০–৩০ জনের সংঘবদ্ধ চক্র তাদের ওপর হামলা চালায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
খবর পেয়ে সাংবাদিক, পুলিশ এবং স্থানীয় মেম্বার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং নির্মাণ কাজ তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেন।
হকার শেফালী পাল বলেন,
“দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তা রাতের অন্ধকারে দখল করে ছাঁদ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় আমাদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
স্থানীয় মেম্বার বাবু পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,
“রাতে চলাচলের পথ দখল করে ছাঁদ নির্মাণ করা হচ্ছিল। আমরা গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ঈদগাঁও থানার এএসআই সুমন জানান,
“চলাচলের রাস্তায় ছাঁদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি এবং আপাতত কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিই।”
ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম বলেন,
“ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। উভয় পক্ষকে পরিষদে ডাকা হয়েছে। আগামী সোমবার বিচার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”
অভিযুক্ত বিধু ভোষন চৌধুরী দাবি করেন,
“রাস্তা থেকে জায়গা পাব বলে ছাঁদ নির্মাণ করা হচ্ছে।”
এদিকে এলাকাবাসী দ্রুত অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা ও সরকারি রাস্তা পুনরুদ্ধারের জোর দাবি জানিয়েছেন।
