নিজস্ব প্রতিবেদক:

শহরের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক ও হোটেল জামান হাইটস এর চেয়ারম্যান শাহজাহান আনসারীকে থানায় ধরে নিয়ে জুলাই আন্দোলনে দুটি হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ করেছে পরিবার। তাদের দাবি, জামান হাইটস দখলে নিতে একটি চক্র মোটা অংকে মিশনে নেমেছে।
২১ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন ডেকে ঘটনার চিত্র তুলে ধরেন শাহজাহান আনসারীর বৃদ্ধ পিতা নুর মোহাম্মদ আনসারী।
তিনি জানান, তাদের পরিচালনাধীন হোটেল জামান হাইটস পরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে দখলে নিতে মরিয়া একটি চক্র। তারা বিপুল টাকার বিনিময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে। ছাত্র প্রতিনিধি পরিচয় ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছে।
নুর মোহাম্মদ আনসারী জানান, ব্যবসায়ীক কাজ সেরে গত ১৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে কক্সবাজার ফিরছিলেন ছেলে শাহজাহান আনসারী। তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দর পৌঁছালে সিভিল পোশাকে কোন অভিযোগ ছাড়াই থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন খোঁজ নিতে সদর মডেল থানায় গেলে কোনভাবেই দেখা বা কথা বলার সুযোগ দেয়নি। বলা হয়, উপরের নির্দেশে তসকে নিয়ে আসা হয়েছে। কারো সাথে তার কথা বলার অর্ডার নেই। কোন গণমাধ্যমকর্মীকেও কোন প্রকার তথ্য দিতে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন।
একদিন পর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হওয়া দুটি হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।
এই ঘটনাকে ইতিহাসের সর্বোচ্চ জুলুম বলে মনে করছে শাহজাহান আনসারীর পরিবার।
তার পরিবার থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে হোটেল জামানের ব্যবসায়ীক কাগজপত্র নিয়ে অফিসে যাওয়ার তাগাদা দেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন বলে অভিযোগ করেন নুর মোহাম্মদ আনসারী।
ঘটনার সঠিক তদন্ত করে মিথ্যা মামলা থেকে শাহজাহান আনসারীকে খালাস প্রদানের দাবি তুলেন পরিবারের সদস্যরা।
সেই সঙ্গে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান শাহাজাহান আনসারীর পিতা নুর মোহাম্মদ আনসারী।
সংবাদ সম্মেলনে কারান্তরীন শাহজাহান আনসারীর বড় ভাই রশিদ আনসারী ও মেজ ভাই কাশেম আনসারীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান।
তিনি জানান, শাহজাহান আনসারী জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে অর্থ যোগানদাতা। এই সংক্রান্ত অনেক তথ্য প্রশাসনের কাছে রয়েছে। পরবর্তী তথ্য অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।