নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল(অস্থায়ী ক্যাম্পাস) (২৫০ শয্যা কক্সবাজার সদর হাসপাতাল)-এ ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (IDA) ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে ভোটের পরিবর্তে লটারির মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
১১ নভেম্বর সকাল ৮টায় বি.এন. পাল কনফারেন্স হলে ৬৬ জন ভোটারের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ভোটের দিন সকালে এক পক্ষ নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করে নানা অজুহাতে নির্বাচন স্থগিতের চেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের চাপ ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোট বাতিল করে লটারির মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হয়।
লটারির নিয়ম ছিলো—সভাপতি পদে দুই প্যানেলের প্রার্থীর মধ্যে একজন নির্বাচিত হবেন, আর পরাজিত প্রার্থী স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাধারণ সম্পাদক হবেন। এতে জাতীয়তাবাদ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ডা. ইকবাল জয়ী হলেও বিপক্ষ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ডা. রাহাতকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। অনেকেই এটিকে “অটোপাশ” বা “চুরি করে নেয়া পদ” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
ভোটারদের অভিযোগ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাতীয়তাবাদ সমর্থিত প্যানেলের দুই প্রার্থীই ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন করতেন। হঠাৎ লটারির মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ করায় তাদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা ও প্রত্যাশা ব্যাহত হয়েছে। অনেক ইন্টার্ন চিকিৎসক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হলো।
জয়ী সভাপতি ডা. ইকবাল বলেন, “আমি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিলাম। তাই এই জয় উদযাপন করতে পারছি না। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি আর আমার সহকর্মী ডাঃ মিফতা নিশ্চিত ভাবেই জয়ী হতাম সেই আত্মবিশ্বাস ছিলো আমাদের। তবুও,যদি হেরেও যেতাম তা
হলেও মেনে নিতাম গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে! কিন্তু লটারির মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ করা আসলে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে হাস্যরস।” তিনি আরও জানান, সহকর্মীদের প্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি ও ডা. মিফতা দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মীরা মনে করেন, নেতৃত্ব নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখা জরুরি। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের বিতর্ক এড়িয়ে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।
