আজিজুর রহমান রাজু :
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় জব্দকৃত ৬টি বালুর মহাল উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া রাজঘাট এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর তত্ত্বাবধানে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
নিলামে মোট ৬ জন দরদাতা অংশ নেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে উপজেলার এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী তারেকুর রহমান নিলামটি লাভ করেন।
নিলামকৃত বালুর মোট পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ৯৪০ ঘনফুট, যার দর ওঠে ২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১০ শতাংশ আয়করসহ মোট মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিলামকৃত বালি ১০ দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অপসারণ না হলে নিলাম বাতিলসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
একই সঙ্গে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, নতুন করে কোনো প্রকার বালি উত্তোলন করা যাবে না এবং পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আল মুইন শাহরিয়ার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, এলজিইডি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের এমইউপি জুবায়েদ উল্লাহ জুয়েলসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমার নেতৃত্বে গজালিয়া এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৬টি বালুর স্তুপ জব্দ করা হয়। সেই জব্দকৃত বালুই এবার সরকারি নিয়মে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহল উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বালু অপসারণের নির্ধারিত ১০ দিনের সময়সীমা যেন কোনোভাবেই না বাড়ানো হয়। পাশাপাশি নতুন করে কেউ বালু উত্তোলনের চেষ্টা করলে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
