আব্দুস সালাম,টেকনাফ :
টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে সাগর পথে পাচারের উদ্দেশ্য জড়ো করা ১৪জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এসময় মানব পাচার চক্রের সক্রিয় তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন,বাহারছড়া ইউপি নোয়াখালী পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে মোঃ আবু তাহের (৬৯),একই এলাকার আবু তাহেরের স্ত্রী দিলদার বেগম (৩৮),ও পৌরসভার উত্তর জালিয়া পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ শফি (৩২)।
পলাতক আসামীরা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার আমির আহমদের ছেলে ফাইসেল,একই এলাকার মৃত হাফেজ আহমদের ছেলে সাইফুল,জহিরের ছেলে নুরুল মোস্তফা,মোঃ উল্লাহ,আব্দুস ছামাদের ছেলে সাইদ,জালাল উদ্দীনের ছেলে হারুন প্রকাশ বাবুল, ও মিঠাপানির ছড়ার মৃত আব্দুল মোন্নাফের ছেলে মোঃ ফিরোজ(৩৭)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) অধিনায়ক লেঃকর্নেল আশিকুর রহমান।
তিনি জানান, শনিবার (২৫অক্টোবর) রাতে
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানবপাচারের সংগঠিত চক্রটি টেকনাফের নোয়াখালী পাড়ার আবু তাহেরের বাড়িতে ও দক্ষিণ লম্বরী এলাকার মোহাম্মদ শফির বাড়িতে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করেছে। এমন তথ্যে তারই নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা নোয়াখালী পাড়ার আবু তাহেরের বাড়িটি অভিযান চালায়। অভিযানকালে আটজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এসময় মানব পাচার চক্রের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
এছাড়া অপর দিকে রবিবার ভোররাতে দক্ষিণ লম্বরী এলাকার মোহাম্মদ শফির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি রাখা ০৬জনকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় মূল অভিযুক্ত মানব পাচার চক্রের মোহাম্মদ শফিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। তবে পাচার চক্রের অন্যান্য সদস্যরা রাতের আঁধারে সুকৌশলে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান,আটক আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এবং
মানবতা বিরোধী অপরাধ আমরা কোনোভাবেই বরদাশত করব না। আমাদের এই ধারাবাহিক কঠোর নজরদারি সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।