ইমাম খাইর, সিবিএন:
দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে মহেশখালী ধলঘাটার প্রধান সড়ক পুনঃনির্মাণ ও কুতুবদিয়ায় সি-ট্রাক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নাসিরের ডেইল-সাপমারা ডেইল সড়ক নির্মাণ; শিগগিরই কুতুবদিয়ায় সি-ট্রাক চালু হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এই প্রকল্পের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চিঠি চালাচালি করে আসছিলেন জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ও কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সাবেক এমপি ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ। অবশেষে দ্বীপাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। এতে করে লাঘব হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাইমিনুল ইসলাম মিজান জানান, মহেশখালী উপজেলার নাসিরের ডেইল থেকে সাপমারা ডেইল পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ছিল ভঙ্গুর ও কর্দমাক্ত। এর ফলে স্থানীয় জনগণ, শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক, জেলে ও লবণচাষীরা দৈনন্দিন চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন।
জনদুর্ভোগ লাঘবে ড. হামিদ আযাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সড়কটির পুনর্নির্মাণের অনুমোদন মঞ্জুর করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ধলঘাটের ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত জটিল হওয়ায় সেখানে সড়ক নির্মাণে বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। আনুমানিক ৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবিত হয়েছে। জাইকা ফান্ডের আওতায় এক মাসের মধ্যেই সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
ইতোমধ্যে মহেশখালীতে সী-ট্রাক চালু হয়েছে। খুব শিগগিরই কুতুবদিয়ার নৌপথেও চালু হবে। মগনামা জেটি মেরামতের কাজও বাস্তবায়নের পথে।
ড. আযাদ বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা গত ৫ আগস্ট তাঁকে আপাতত ‘সী-ট্রাক’ এবং পরবর্তীতে ফেরী চালুর জন্য প্রকল্প গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মহেশখালী-কুতুবদিয়া দ্বীপের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিতে আসবে সমৃদ্ধি।
মগনামা-কুতুবদিয়া ফেরি সার্ভিস চালু করার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন হামিদুর রহমান আযাদ।
ধলঘাট ইউনিয়নের এই সড়ক পুনঃনির্মাণ অনুমোদন স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ও আশার সঞ্চার করেছে। এলাকাবাসী মনে করছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য ও লবণচাষের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে, এবং দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে। ড. হামিদ আযাদ তাঁর এই জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য এলাকাবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।