সিবিএন ডেস্ক:
দক্ষিণ কক্সবাজারে রোহিঙ্গারাই স্থানীয়দের আতংক। উখিয়ার ইতিহাসে এটি নতুন কিছু নয়। বারবার রোহিঙ্গাদের হাতে স্থানীয়রা নির্যাতিত হলেও দায়িত্বরত সি’আইসি ও ব্লকের মাঝিরা নিজের চেয়ার ধরে রাখতে দামাচাপা দিয়ে আসছে হাজারও ঘটে যাওয়া ঘটনা।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে আব্দুর রহিম ও ইউনুস স্থানীয় দুই ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালায়। এরপর তাদেরকে অপহরণ করে ক্যাম্পের ভিতরে নিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চাইলে না দেওয়ায় পিস্তল, ছুরি দিয়ে রহিম ও ইউনুসকে এলোপাতাড়ি মেরে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে তারা কোনরকম প্রাণে বেঁচে যায়। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আব্দুর রহিম ও ইউনুস মুরগী বিক্রি করে আমদানির টাকা নিয়ে ফেরার পথে বালুখালী ময়নার ঘোনা মরা গাছতলা ক্যাম্প ১২ এর চিহ্নিত সন্ত্রাসী আরসা বাহিনীর সদস্য খুন, গুম, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি রোহিঙ্গা আলী জওহারের নেতৃত্বে হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে আহতরা জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, ক্যাম্প ১২ ও ১৮ দুইটি ক্যাম্পের ইনচার্জ মিনহাজুর রহমান (সি’আইসি) এক জন হওয়াতে আরসা বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি দেখা দিয়েছে।
প্রায় সময় এমন অপরাধমূলক ঘটনার জন্য সি’আইসির দুর্বলতাকে দায়ী করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা ক্যাম্প ইনচার্জের প্রত্যাহার ও সন্ত্রাস দমনের দাবি জানিয়েছে।
স্থানীয় এক সমাজকর্মী জানান, কিছুদিন আগেও ক্যাম্প ১৮ থেকে বন্দুক ও মাদক উদ্ধার করলেও একজন সন্ত্রাসীও গ্রেফতার করতে পারেনি দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে সিআইসি ঘটনা ধামাচাপা দেয়।
মরাগাছ তলা ক্যাম্প ১২তে হাসেম উল্লাহ মাঝি ও ১৮ ব্লক এম ১৭ এর আরসা বাহিনীর সদস্য একাধিক মামলার আসামি সাবেক মাঝি নসিম, মোস্তাক আহমেদ (এম ১৪) ও হেডমাঝি সলিমুল্লাহ’র নেতৃত্বে পাহাড়ে ঘর তৈরি করে বিক্রি। বিচার সালিশের নামে লাখ লাখ টাকার ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে আসছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ইউনুস জানান, আমদানির টাকা নিয়ে ফেরার সময় মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে অন্যস্থানে নিয়ে যায় চিহ্নিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী আলী জওহার, ছৈয়দ আমীন, খায়রুল আমীন, মো:আমীন, জোবাইর, এনায়েত উল্লাহ, কেফায়েত উল্লাহ, পেটান আলীসহ ১৫-২০জন সন্ত্রাসী তারা আমাদের সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। সেখানে লোকজন জড়ো হলে পালিয়ে যায়। পরে ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএনের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় সিআইসির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
