বার্তা পরিবেশক:

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পশ্চিমপাড়ায় ওয়ারিশ সম্পত্তি দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেছে, সম্পত্তি ভাগিয়ে নিতে ওই নেতা পরিকল্পিতভাবে তাদের ‘রোহিঙ্গা’ বানিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন।

সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ভুক্তভোগী পরিবারকে ‘রোহিঙ্গা’ আখ্যা দিয়ে প্রকাশিত খবরকে পুরোপুরি মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলে দাবি করেছে আমান উল্লাহর পরিবার।

অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম এসেছে—অমান উল্লাহর সন্তান ছমিরা আক্তার ও মো. রিদুয়ান—তারা জানান, তারা বাংলাদেশের নাগরিক এবং ভোটার হওয়ার সময় আইনসম্মতভাবে সব কাগজপত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছেন।

ছমিরা আক্তার তাঁর পারিবারিক পরিচয় তুলে ধরে বলেন,
“আমাদের পূর্বপুরুষের বসবাস ছিল টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহ পরীর দ্বীপ বাজারপাড়ায়। আমার পরদাদা আজিজুর রহমানের চার সন্তান ছিলেন—সোনালী, হাজী আব্দুল্লাহ, আলী আহমদ সওদাগর ও হাজী আব্দুল গফ্ফার। আমার দাদা সোনালীর তিন সন্তান—খতিজা, আমান উল্লাহ ও শফি উল্লাহ। আমার বাবা আমান উল্লাহ ও চাচা শফি উল্লাহ ১৯৯৪ সালে লেদা এলাকায় হাজী মকতুল হোসাইনের কাছ থেকে ৩৯ শতক জমি ক্রয় করেন এবং সেই জমিতেই আমরা বসবাস করছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা লেদা বরইগাছতলায়। আমরা ইবনে আব্বাস মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় সব দলিল ও নাগরিক কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলম আমাদের হয়রানি করতে ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।”

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, মোহাম্মদ আলম দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত শত্রুতা ও সম্পত্তির লোভে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। উদ্দেশ্য একটাই—ওয়ারিশ সম্পত্তি দখল।

তারা বলেন, “আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মানহানিকর। একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করতে ও জমি হাতিয়ে নিতে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটন ও ন্যায়বিচার চাই।”