পেকুয়া প্রতিনিধি :
দেশব্যাপী বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের তিন দফা যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের পেকুয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় পেকুয়া সরকারি মডেল জি.এম.সি. ইনস্টিটিউশনের সামনে এবিসি আঞ্চলিক মহাসড়কে শিক্ষক সমন্বয় কমিটি, পেকুয়া শাখার ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফাশিয়াখালী ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন, শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের প্রভাষক জাকির হাওলাদার, শহীদ জিয়া বি.এম.আই. ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক জামাল সাকিব, মগনামা শাহ রশিদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুর, উজানটিয়া এ.এস. সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুসা কাজেম, রাজাখালী বি.ইউ.আই. কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, পেকুয়া আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ওসমান গনি, মেহেরনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম. সামশুদ্দোহা, বারবাকিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, টইটং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম এবং মেহেরনামা আলমাছিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ মাসুমসহ উপজেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
বক্তারা এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের তিন দফা দাবি তুলে ধরেন- মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, প্রতি মাসে ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, কর্মচারীদের জন্য শতকরা ৭৫ ভাগ হারে উৎসব ভাতা।
তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে এসব দাবির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বক্তারা ঢাকায় চলমান শিক্ষক আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ অবস্থানরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “জাতি গড়ার কারিগরদের ওপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।”
তারা আরও বলেন, “আমাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে চাকরি জাতীয়করণসহ বিভিন্ন ভাতার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের তুলনায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা সুবিধায় রয়েছে চরম বৈষম্য। বর্তমান শিক্ষক সংকটের প্রেক্ষাপটে শিক্ষাবিদদের মতে, শিক্ষক পেশার প্রতি আগ্রহ ধরে রাখতে হলে বেসরকারি শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি।
