সংবাদদাতা:
রামু উপজেলার গর্জনিয়ায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও চোরাচালানে বাধা দেওয়ায় মোঃ হাবিব ও মোঃ রিদুয়ান নামের দুইজন জুলাইযোদ্ধাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

১৫ অক্টোবর বিকাল তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

অভিযুক্ত একজনের নাম কলিম উল্লাহ। তিনি কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি। অপরজন মো: একরাম ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক।

গর্জনিয়া ইউনিয়নের গয়ালমারা, শিকদার পাড়া, রাজঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও চোরাচালানে বাঁধা দেওয়ায় কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সহ-সভাপতি কলিম উল্লাহ ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো: একরামের নেতৃত্বে ৭/৮ জন অবৈধ বালু উত্তোলনকারী গর্জনিয়া ইউনিয়নের শিক্ষার্থী ও জুলাইযোদ্ধা মোঃ হাবিব ও মোঃ রিদুয়ানের উপর হামলা করেছে।

ভুক্তি মো: হাবিব বলেন, বিকাল ৩টার দিকে আমি ও রিদুয়ানকে গর্জনিয়া বাজারে পেয়ে কলিমুল্লাহ ও মো: একরামের নেতৃত্বে ৭/৮ জন ঘিরে ধরে গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর হুমকির সরে বলে, “তোদের কারণে বালি ব্যবসায় লস হচ্ছে। আজকে তোদেরকে শেষ করে দিব।” এরকম বলতে বলতে কিল-ঘুষি মারে। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।

হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত কলিম উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে বলেন, হ্যাঁ, ঘটনা সত্য। গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সামনে একরামসহ ছোট ভাইয়েরা ছিল। হাবিব ও রিদুয়ানরা আমাদের বালু মহাল নিয়ে ডিস্টার্ব করার হালকা থাপ্পড় দিয়েছে। আমি পরে তাদের সরিয়ে দিয়েছি।

আহত রিদুয়ান অভিযোগ করেছেন, গর্জনিয়া বাজার থেকে থিমছড়ি যাওয়ার পথে আমাদের উপর আবারো হামলা চালায়। এতে মো. ইউনুসও আহত হয়।

রামু থানার ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ বলেন, হামলার তথ্য পেয়েছি। তদন্ত টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নিব।