নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা বাজারে ইয়াবা, মদ ও গাঁজা বিক্রির ভিডিও ধারণ করায় দৈনিক গণসংযোগ ও সিবিএন মাল্টিমিডিয়া-এর উখিয়া প্রতিনিধি জালাল উদ্দীনের ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়েছে চিহ্নিত মাদক কারবারিরা। সোমবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে মরিচ্যা কাঁচা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন আহত সাংবাদিক বাদী হয়ে উখিয়া থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার মরিচ্যা বাজারের কয়েকটি দোকানে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা, মদ ও গাঁজা। গরুর মাংস বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রির অভিযোগ থাকা আব্দুর রহিম ওরফে ‘টনাইয়া’ এবং চিহ্নিত মাদক কারবারি সোনা আলমের নেতৃত্বে চলছে এ মাদক ব্যবসা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গণমাধ্যমকর্মীরা অনুসন্ধানে গিয়ে গোপনে মাদক বিক্রির দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় কারবারিরা হঠাৎ পেছন থেকে হামলা চালায়। তারা একজন সাংবাদিককে অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে যায় এবং দুইজন সাংবাদিক কৌশলে পালিয়ে যান। অপহৃত সাংবাদিকের কাছ থেকে মোবাইল, ক্যামেরাসহ সংবাদ সংগ্রহের সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।
এছাড়া উদ্ধার করা গাঁজা নিজের বলে স্বীকারোক্তি না দিলে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। পরে জোর করে ভিডিও ধারণ করে সাংবাদিককে গাঁজা বিক্রেতা সাজিয়ে ফেসবুকের ভুয়া আইডি থেকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে পরে আসল ভিডিও ফাঁস হলে সত্য প্রকাশ পায় এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
মামলার আসামিরা হলেন—হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চিহ্নিত মাদক কারবারি আব্দুর রহিম ওরফে টনাইয়া, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে সোনা আলম, কপিল উদ্দিন, মরিচ্যার আব্দুল রহমান ওরফে বইদ্দা, রমিজ মিস্ত্রি, হোছনসহ মোট ৮ জন নামীয় এবং ১৩ জন অজ্ঞাত আসামি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসেন বলেন, “সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। দ্রুতই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
