নিজস্ব প্রতিবেদক;
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে ইউনিয়ন পরিষদের বৈধ ইজারাদারদের রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে প্রকাশ্যে বাধা দিচ্ছে প্রভাবশালী ট্রান্সপোর্ট সিন্ডিকেট।
চার মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারা নেওয়ার পর থেকেই একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে টোল আদায় বন্ধ করে দিয়ে ইজারাদারদের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করছে। অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ বাণিজ্যে জড়িত ট্রাক ও পিকআপ মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর সিন্ডিকেটই এর জন্য দায়ী।
ইজারাদার নুরুল আমিন, রাশেদুল ইসলাম ও মনির আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ১৫ লাখ টাকা দিয়ে বৈধ ইজারা নেওয়ার পর চার মাসে এক টাকাও রাজস্ব আদায় করতে পারেননি তারা। এই সময়ে তাদের প্রায় সাত লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, বছরের পর বছর ট্রান্সপোর্টের নামে সিন্ডিকেট গড়ে অবৈধভাবে টাকা লুটে নিচ্ছে একটি গোষ্ঠী। এখন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বৈধ রাজস্ব আদায়ে বাধা দিচ্ছে এবং বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নিতে জামায়াতের নামে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় চালক সাইফুল ইসলাম, আশিক ও ইব্রাহিম জানান, সিন্ডিকেটগুলো লবণবাহী ট্রাক থেকে ৫০০ থেকে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা তোলে। ভারি ওজন পরিবহনের ক্ষেত্রে দিতে হয় অতিরিক্ত অর্থ। কখনও কখনও একেকটি ট্রাক থেকে ২,০০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্তও আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টোল আদায়ের সময় সিন্ডিকেটের সদস্যরা এসে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযুক্ত কক্সবাজার জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ ইসলামপুর নাপিতখালী শাখার ম্যানেজার নজরুল ইসলাম অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করলেও অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে বলে স্বীকার করেন।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিমল চাকমা বলেন, এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে এবং আগামী বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি সুপরিকল্পিতভাবে বৈধ রাজস্ব ব্যবস্থা ধ্বংস, অবৈধ চাঁদাবাজি চালু রাখা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার নোংরা খেলা।
