সালাহ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে চকরিয়ার ৪ ইউপি চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

“গ্রামের কোনো মানুষ যেন নাগরিক মৌলিক সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়” — সালাহ উদ্দিন আহমদ

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১০:৩৯ , আপডেট: ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১১:০২

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


এম. মনছুর আলম, চকরিয়া :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা সালাহ উদ্দিন আহমদের সঙ্গে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ৪ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন—বিএমচর ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল মানিক, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন শিপু, কাকারা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম এবং পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ।

জানা গেছে, ২৪ জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক কারণে এবং মামলার আসামি হওয়ায় সারাদেশের অনেক ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। এর ফলে ইউনিয়ন পর্যায়ে নাগরিক মৌলিক সেবা চরমভাবে ব্যাহত হয়। চকরিয়া উপজেলায়ও ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৫টিতে চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় সেবা কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ে।

অন্তর্বর্তী সরকার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের পরিবর্তে জেলা প্রশাসকের পরিপত্র অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়। এর ফলে চকরিয়ার বিএমচর, ডুলাহাজারা, কাকারা ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা পরিষদ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সাক্ষাৎকালে সালাহ উদ্দিন আহমদ ৪ ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়ে বলেন—মানুষের কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে, যাতে কেউ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে এবং সেবা নিতে গিয়ে কোনো মানুষ যেন ভোগান্তির শিকার না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভেঙে যাওয়া রাস্তা-ঘাট দ্রুত মেরামত করতে হবে, যাতে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল ও ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সবকিছু নিয়মের মধ্যে ফিরে আসবে। গ্রামের কোনো মানুষ যেন তার প্রাপ্য মৌলিক সেবা থেকে বিন্দুমাত্রও বঞ্চিত না হয়, সে ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।