পেকুয়া প্রতিনিধি:

জনগণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়, স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দিতে কক্সবাজারের পেকুয়া থানায় অনুষ্ঠিত হলো পুলিশের “ওপেন হাউস ডে”।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় থানার সভাকক্ষে এই জনমুখী আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) অভিজিৎ দাশ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন এসআই আরেফিন ছিদ্দিকী।

পুলিশের এ ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগে স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও গণমাধ্যম অঙ্গনের নেতৃবৃন্দসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে মাদক, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্যবিবাহ, কিশোর গ্যাং, অনলাইন জুয়া, সাইবার অপরাধসহ সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি জনসচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হয়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহবুব উজ জামান, পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক জেড. এম. মোসলেম উদ্দিন, পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাসেম, পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সফওয়ানুল করিম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২, কক্সবাজার-এর পিপি অ্যাডভোকেট মীর মোশাররফ হোসেন টিটু, পেকুয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল করিম ফারুকী, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক এম. ফরহাদ হোছাইনসহ আরও অনেকে বক্তব্য প্রদান করেন।

বক্তারা বলেন, “ওপেন হাউস ডে” একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ, যা পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে অপরাধ দমনে সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করে।

ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “পুলিশকে সত্যিকারের সেবা ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনগণের আস্থা ও অংশগ্রহণ অপরিহার্য। ওপেন হাউস ডে সেই সেতুবন্ধন তৈরি করে দেয়, যা জনগণ ও পুলিশকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে।”

এএসপি অভিজিৎ দাশ বলেন, “এখনকার পুলিশিং শুধু আইনের প্রয়োগ নয়—এটি জনগণের সঙ্গে কার্যকর অংশীদারিত্ব। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা চাই নিরাপদ ও সচেতন সমাজ গড়ে তুলতে।”

অনুষ্ঠানে শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সমাজকর্মীরাও মতামত দেন এবং বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা সরাসরি উত্তর দেন।