প্রেস বিজ্ঞপ্তি
“জুলাই গণঅভ্যুত্থান: প্রাপ্তি, প্রত্যাশা ও নেজামে ইসলাম পার্টির রাষ্ট্রদর্শন” শীর্ষক আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি কক্সবাজার জেলা। ৫ আগষ্ট ( বুধবার) বিকাল ৩ টায় গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও কক্সবাজার জেলার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ। তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার যে সীমাহাীন জুলুম- শোষণ চালিয়ে আসছিলো তার অবসানে ২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থান এক ঐতিহাসিক বিপ্লব। যে বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী জালিম শাহীর নির্লজ্জ পতন হয়েছে। সে পতিত অপশক্তি যেন পূনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তিকে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। এসময় তিনি প্রকৃত অর্থে বৈষম্যুক্ত, ইনসাফপূর্ণ নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নেজামে ইসলাম পার্টির রাষ্ট্রদর্শনে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
শহরের এক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, নবনির্বাচিত জেলা আমীর, কারানির্যাতিত নেতা মাওলানা আ. হ. ম নুরুল কবির হিলালী। তিনি বলেন, নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃত্বেই ১৯৫৬ সালে রচিত হয়েছিলো ইসলামী শাসনতন্ত্রের ঐতিহাসিক ২২ দফা মূলনীতি। “আইন আল্লাহর, সরকার জনগণের, জমি কৃষকের, কারখানা শ্রমিকের” এ সংগঠনের যুগান্তকারী রাষ্ট্রদর্শন।” জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতার যে নতুন আবহ সৃষ্টি হয়েছে তার পূর্ণতা সাধন করতে এ রাষ্ট্রদর্শনের আলেকে ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তরান্বিত করতে হবে। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সংঘটিত সকল গণহত্যার যথাযথ বিচার ও মৌলিক সংস্কারের পরেই সুষ্ঠু নির্বাচানের ব্যবস্থা করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেমসমাজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের রক্তিম অবদানের মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি দিতে হবে।
জেলা যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুরের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল হক চকোরী। তিনি বলেন, অসংখ্য তাজাপ্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদী শাসনের দীর্ঘ একটি বিভীষিকাময় অধ্যায়ের অবসান হলেও এখনো দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকন্ঠার শেষ নেই৷ জুলাই বিপ্লবের প্রকৃত অর্জনকে ম্লান করে দেয়ার জন্য স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা সুক্ষ্ম চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ঘুষ বাণিজ্য, দখলবাজিসহ দুর্বৃত্তায়ন জনজীবনকে চরম হুমকিতে ফেলে দিয়েছে। এমতাবস্থায় জুলাই বিপ্লবের প্রকৃত চেতনাকে সমুন্নত রাখার মাধ্যমেই সর্বপ্রকার দুর্বৃত্তায়নের মূলোৎপাটন করতে হবে।
রামু উপজেলা শাখার নবনির্বাচিত সহ- দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ ওজাইরুল হকের পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মুফতি এমদাদুল্লাহ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা খালেদ সাইফী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ আবরারী, সহ-অর্থ সম্পাদক মাওলানা জামাল হোছাইন ছিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাফেজ শওকত আলী, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল হামিদ, দফতর সম্পাদক এড. ঈসা মাহমুদ হাসেমী, সহ-দফতর সম্পাদক মাওলানা যায়নুল আবেদীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. তারেক আজিজ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কারী আশরাফুল মতিন মোহাম্মদ আসেম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাফেজ মোহাম্মদ সালেম, সহ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মনজুর ইলাহী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আবু বকর ছিদ্দিক, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল কাইয়ুম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ দিদারুল আলম, নির্বাহী সদস্য মাওলানা হাফেজ আজিজুল হক মক্কী, হাফেজ মোহাম্মদ শফি, মাওলানা হাফেজ মিজানুল হক, জেলা ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি মুহাম্মদ অলি উল্লাহ আরজু, ইসলামী যুবসমাজ নেতা মাওলানা জসিম উদ্দিন, প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, হাফেজ এরশাদুল্লাহ, রামু উপজেলা ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল আলম, উখিয়া উপজেলা সদস্য সচিব আবদুল্লাহ মাহমুদ , কক্সবাজার পৌর শাখার আহবায়ক আহমদ ইয়াছিন, সদর উপজেলা শাখার শাহেদুর রহমান, ছাত্রনেতা হাফেজ এহসানুল হক, বুরহান উদ্দিন, ইমরান ফয়জী প্রমুখ।
সভা শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদানের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আল্লাহর দরবারে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
