এম. মনছুর আলম, চকরিয়া:
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় চকরিয়া পৌর শহরে এই বিজয় মিছিল শুরু হয়। মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায় থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর ঢল নামে।
মিছিলটি নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এনামুল হক, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী, পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক এম. আবদুর রহিম।

মিছিল শেষে চকরিয়া জনতা টাওয়ার চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম হায়দার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক এম. আবদুর রহিম।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না। তিনি বলেন,
“দীর্ঘ ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে খুনি স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। দেশের মানুষের এখন একটাই দাবি—গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। হাসিনা দিল্লিতে বসে তাঁর দোসরদের নিয়ে দেশকে আবার অরাজকতার দিকে ঠেলে দিতে চক্রান্ত করে চলেছেন। এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক, দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী, জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম. আবুল হাসেম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দীন ফরায়েজী, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন কমিশনার, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন কমিশনার, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আকতার ফারুক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুদুল করিম, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এ.এম. ওমর আলী, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি শহীদুল ইসলাম ফোরকান, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনোহর আলম, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন লাল্টু, এবং উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নানা রঙের ফেস্টুন, ব্যানার ও বাদ্যযন্ত্রসহ আলাদা আলাদা বিজয় মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেন। এতে পুরো পৌর শহর এক আনন্দঘন ও বিজয়োল্লাসপূর্ণ পরিবেশে পরিণত হয়।
