এইচ এম জালাল উদ্দিন কাউছার, উখিয়া:
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী তানজিমার খোলা এলাকায় ফেসবুকে মাদকবিরোধী মন্তব্য করায় ইজিবাইক চালক ওমর ফারুককে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ওসমান গ্রুপের সদস্যরা।
জানা গেছে, স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওমর ফারুক বিরূপ মন্তব্য করেন। এর জেরে ২৮ জুলাই রাতে মুখোশধারী ও সশস্ত্র ওসমান গ্রুপের সদস্যরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে।
আহত অবস্থায় ওমর ফারুককে প্রথমে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
জানা গেছে, হামলায় জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন ওসমান, আলাউদ্দিন, জুয়েল, তারেক, মুবিন, মোহাম্মদ কাজল, মো. শাকিল ও সাজ্জাদ হোসেন মুবিনসহ একাধিক ব্যক্তি। তারা সবাই স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী ও মাদকচক্রের সদস্য হিসেবে পরিচিত।
এদিকে, একই দিনে (২৮ জুলাই) সকালে উখিয়া থানা পুলিশ কুতুপালং পশ্চিম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওসমান গ্রুপের সদস্যদের একটি প্রাইভেটকার তল্লাশি করে অভিনব কৌশলে লুকানো ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। গাড়িটির গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতর এসব মাদক লুকানো ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উখিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন, এসআই সৌরভ হোসেন ও এসআই নোমান।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ওসমান গ্রুপের তিন সদস্য—উখিয়ার পালংখালী রহমতের বিল এলাকার রফিক উদ্দিনের ছেলে মামুনুর রশিদ (২৪), কক্সবাজার সাবমেরিন ক্যাবল এলাকার নুরুল আফছারের ছেলে নুরুল ইসলাম (২৬) এবং একই এলাকার নুরুল আবছারের ছেলে মো. কবির (২৩)—কে গ্রেফতার করা হয়।
এই অভিযানের পাশাপাশি আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ, ফলে মোট চারজনকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোসাইন জানান, সোমবারের পৃথক অভিযানে মোট ৬০ হাজার ইয়াবাসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া হামলা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
