পেকুয়া প্রতিনিধি:

একসময় কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার মাঠজুড়ে মুখর ছিল ফুটবলের প্রাণচাঞ্চল্য। কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া সেই জৌলুস ফিরিয়ে আনতে গঠিত হলো পেকুয়া উপজেলা ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির আংশিক কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) কক্সবাজার জেলা ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই নতুন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক কৃতি ফুটবলার, সংগঠক কমরান জাদিদ মুকুটকে। সদস্য সচিব মনোনীত হয়েছেন মাঠে সক্রিয়, উদ্যমী সংগঠক আইয়ুবুল ইসলাম। এছাড়া কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় আহমদ শফিক ও জিয়া উদ্দিন অনিক কে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

পেকুয়ার ফুটবল অঙ্গনে একসময় যাঁরা মাঠ কাঁপিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই আজ বিস্মৃত। এই প্রজন্মের সামনে ফুটবলের ঐতিহ্য তুলে ধরার তাগিদ থেকেই এই কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়ক কমরান জাদিদ মুকুট বলেন, “ফুটবল আমার রক্তে। খেলোয়াড়দের ন্যায্য অধিকার, প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতামূলক পরিমণ্ডল গড়ে তুলতেই আমরা মাঠে নামছি। খেলোয়াড়দের ঐক্যবদ্ধ করে ফুটবলকে আবার পেকুয়ায় প্রাণ ফেরাতে চাই।”

তিনি আরও জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নভিত্তিক সাবেক ও বর্তমান ফুটবলারদের নিয়ে একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।

দীর্ঘদিন ধরে ফুটবল সংগঠন না থাকায় খেলোয়াড়দের কোনো প্রতিনিধি বা প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি ছিল না। স্থানীয় প্রতিযোগিতা, টুর্নামেন্ট আয়োজন ও জেলা লিগে অংশগ্রহণে কোনো সুষ্ঠু কাঠামো ছিল না। নতুন প্রজন্মের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, নির্বাচনী ক্যাম্প কিংবা জেলা-জাতীয় পর্যায়ে প্রেরণ করা হতো না।

এই প্রেক্ষাপটেই ফুটবল খেলোয়াড় সমিতি পুনর্গঠনের উদ্যোগটি স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে।

একসময় বারবাকিয়া মাঠ, রাজাখালী স্কুল মাঠ, উজানটিয়ার চর, গোঁয়াখালী মাঠ ফুটবলপ্রেমে মুখর থাকত। জাতীয় ও জেলা দলেও খেলতেন পেকুয়ার অনেক ফুটবলার। এই সংগঠন যদি দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় রেখে কাজ করে—তবে পেকুয়ার ফুটবল আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে।