ডুলাহাজারা সংবাদদাতা:
চকরিয়ার ডুলাহাজারায় নিরীহ পরিবারের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় ও ক্রয়কৃত বসতভিটা জবরদখলের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলায় মা-ছেলে দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় বসতবাড়ি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড নতুন পাড়া এলাকায় ঘটেছে।

হামলার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আবু তাহের ও তার দুই ছেলেসহ কিছু লোক একটি মহিলাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করছে, পরক্ষণে মহিলাটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় স্থানীয় ছৈয়দ আলমের ছেলে নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে একই এলাকার মৃত নুর আহমদের ছেলে আবু তাহের এবং তার দুই ছেলে জামাল ও জমিরসহ ৯ জনের নামে থানায় এজাহার দায়ের করছে।

বাদী নুর মোহাম্মদ বলেন, আমাদের ৬০ বছরের ভোগদখলীয় বসত ভিটায় শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাসরত থাকা অবস্থায়, বিগত কিছুদিন পূর্বে জনৈক জেবুন্নাহার তাদের ৭ কড়া সম্পত্তি রয়েছে দাবি করিলে, উক্ত জায়গা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে তাদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রি কবলা মুলে খরিদ করি। ওই জমি পার্শ্ববর্তী আবু তাহের ক্রয় করেছে দাবি করে বারবার জবরদখলের হুমকি দেয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জবরদখলের চেষ্টা করে। ওই সময় স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দুইজন সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপের কথা বলিলে, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আয়াত উল্লাহ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার দুই গালে থাপ্পড় মারে। সাথে সাথে আমি দৌড়ে পালিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যাই। পরে সন্ত্রাসীরা আমাকে বাড়ির ভেতর থেকে বের করে মারতে থাকে।

এসময় আমাকে বাঁচাতে আমার মা আয়েশা বেগম এগিয়ে এলে, আমার মা’কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে এবং আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।