সিবিএন ডেস্ক ;
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান ছিল কমপক্ষে ৫০ শতাংশ—এমন মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে আয়োজিত “জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা”র এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “এই অভ্যুত্থান শুধু রাজনৈতিক উত্তাপ নয়, বরং উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার বৈষম্য দূরীকরণের চেতনা তৈরি করেছে। সেই চেতনাকে সামনে রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে।”
ভিসি বলেন, “দেশের উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়ছে। এই বিপুল শিক্ষার্থীরাই ব্যক্তিগত নয়, বরং জাতীয় স্বার্থে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে।”
আলোচনায় জানানো হয়, এরই মধ্যে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি শিক্ষা বৃত্তি’ চালু করা হয়েছে এবং শহিদ ও আহতদের পরিবারের সব ধরনের ফি মওকুফ করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও কয়েকটি পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
ভাইস-চ্যান্সেলর সতর্ক করেন, “বিশ্বের বহু গণঅভ্যুত্থান ভেঙে পড়েছে আন্দোলনকারীদের অভ্যন্তরীণ বিভক্তির কারণে। যদি মতানৈক্য দূর করে সমতা প্রতিষ্ঠা না করা যায়, তবে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা রক্ষা করা কঠিন হবে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান। আলোচনা শুরুর আগে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি শিক্ষা বৃত্তি’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন আহমেদ শিশিম।
