গত ১৮ মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতা ও নিপীড়নের জেরে এক লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর শুক্রবার (১১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৭ সালের পর এটি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সবচেয়ে বড় ঢল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কক্সবাজারের মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটার এলাকায় আগে থেকেই প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা অবস্থান করছিল। দেড় লাখ নতুন রোহিঙ্গা এতে যুক্ত হয়ে ক্যাম্পগুলোকে বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে পরিণত করেছে।

ইতোমধ্যে নতুন আগতদের মধ্যে ১ লাখ ২১ হাজারের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হলেও বাকিরা নিবন্ধনবিহীন অবস্থায় মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অধিকাংশ শরণার্থী নারী ও শিশু।

ইউএনএইচসিআর আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, বৈশ্বিক সহায়তা তহবিল ঘাটতির কারণে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও রান্নার জ্বালানি এবং ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঝুঁকির মুখে পড়েছে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার শিশুর শিক্ষা, যার মধ্যে নতুন ৬৩ হাজার।

সংস্থাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছে, রাখাইনে শান্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশ না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ ও অন্যান্য আশ্রয়দাতা দেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।