এম. মনছুর আলম, চকরিয়া:
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় মোট ৫ হাজার ৩৩২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৬ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৬৯৬ জন শিক্ষার্থী। উপজেলার গড় পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৬৮ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ বছর উপজেলায় মোট ৩১২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
প্রতিবারের মতো এবারেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে শীর্ষস্থান দখল করেছে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৭৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়, যার মধ্যে ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ৮৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশের হার ৮৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
তবে পাশের হারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে চকরিয়া গ্রামার স্কুল। এ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৫৫ জন, এর মধ্যে ২৪৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ৫৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাশের হার ৯৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
উপজেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ফলাফলেও রয়েছে বৈচিত্র্য। চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে, পাস করেছে ২৬৩ জন এবং ২৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মেমোরিয়াল খ্রিস্টান উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়ে ২৩ জন জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
এছাড়া কিশলয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন, চকরিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব বড় ভেওলা জিএনএ মিশনারী উচ্চ বিদ্যালয়, কাকারা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ফলাফলও সন্তোষজনক। তবে কিছু প্রতিষ্ঠানে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় সামগ্রিক গড় পাশের হার কিছুটা কমে গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, সার্বিকভাবে উপজেলার শিক্ষার্থীদের ফলাফল আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার প্রত্যাশার তুলনায় কম। এ বছর চকরিয়ার ৪০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। তিনি বলেন, ফল বিশ্লেষণ করে দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে নজর দেওয়া হবে।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে স্বল্পসংখ্যক হলেও শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর বরইতলী উচ্চ বিদ্যালয়, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কৈয়ারবিল উচ্চ বিদ্যালয়, ক্যামব্রিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়, শাক্যমুনি উচ্চ বিদ্যালয়, কিশলয় আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়, মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়, মালুমঘাট আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, পালাকাটা উচ্চ বিদ্যালয় ও রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আগামী বছরগুলোতে এই ফল আরও উন্নত করতে হলে বিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কার্যক্রমে নিয়মিত তদারকি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের উপর বাড়তি যত্ন প্রয়োজন।
