তিতুমীর কলেজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় করা মামলার বাদী অধ্যাপক মালেকা আখতার বানুকে এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা এক অফিস আদেশে এ নিয়োগের তথ্য জানানো হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিশেষ করে মামলায় অভিযুক্ত ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা এ নিয়োগের বিরোধিতা করে তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।
জানা যায়, গত বছরের ২৫ জুলাই তিতুমীর কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষিকা মালেকা বানু বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যাতে অজ্ঞাতনামা ৭০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়। এজাহারে বলা হয়, সরকারি ছুটির দিনে বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের দুষ্কৃতকারীরা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছে, যিনি এতজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তাকে অধ্যক্ষ হিসেবে মেনে নেওয়া অসম্ভব। শিক্ষার্থী খন্দকার সাইমা সুলতানা বলেন, “এ ধরনের নিয়োগ আমাদের জন্য অপমানজনক।”
শিক্ষার্থী সাদেকুর নাহার কবিতা বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে এ নিয়োগ মেনে নেওয়া যায় না।”
জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তী বলেন, “ফ্যাসিবাদের দোসর অধ্যাপক মালেকাকে আমরা মেনে নেব না। নিয়োগ বাতিল না হলে ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে নামবে।”
ছাত্র প্রতিনিধি বায়েজিদুর রহমান সিয়াম বলেন, “তার নিয়োগ দ্রুত বাতিল করতে হবে। আমরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দেব।”
আরেক শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মেহেরুন্নেছা মুনিয়া বলেন, “তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলে একদিনের জন্যও অফিস করতে দেব না। কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
এ বিষয়ে মালেকা আখতার বানু জানান, “তৎকালীন অধ্যক্ষ ও সরকারের নির্দেশে আমি মামলার বাদী হই। তখন জানতাম না মামলার আসামিরা শিক্ষার্থী। একজন শিক্ষক ও মা হিসেবে আমি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কখনোই ছিলাম না। পরে আমি মামলা প্রত্যাহার করেছি।”
