সিবিএন ডেস্ক ;

কক্সবাজার শহর থেকে মেরিন ড্রাইভে প্রবেশমুখে গাড়ি থামিয়ে ‘পৌর কর’ আদায়ের নামে চাঁদা তুলছে একদল যুবক। যদিও রশিদে লেখা রয়েছে “কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল”, কিন্তু আদায় হচ্ছে টেকনাফগামী মেরিন ড্রাইভ সড়কে। এ ঘটনায় তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট, বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ পর্যটক ও এনজিও/আইএনজিও কর্মীরা—যারা সময় বাঁচাতে এই পথ ব্যবহার করেন।

চাঁদা আদায়ের পরিমাণ গাড়িপ্রতি ৩০ টাকা, যার আওতায় পড়ছে মাইক্রোবাস, নোহা, হাইয়েস ও ব্যক্তিগত কার।

পর্যটক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, এই চাঁদাবাজি অনাকাঙ্ক্ষিত, অযৌক্তিক এবং পর্যটনবান্ধব পরিবেশের পরিপন্থী। কেবলমাত্র মুষ্টিমেয় কিছু লোকের লাভের জন্য কক্সবাজারের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং পর্যটনখাত পড়ছে হুমকির মুখে।

এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে পর্যটক আলমগীর কবির বলেন, “মেরিন ড্রাইভের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ককে চাঁদা আদায়ের মাধ্যম বানানো অত্যন্ত দুঃখজনক।”
আরেক পর্যটক সমির শাহা বলেন, “এভাবে চলতে থাকলে পর্যটকদের আকর্ষণ কমে যাবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে স্থানীয় পর্যটন শিল্প।”

এদিকে কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ বলেন, “গত বছরও ইজারা দেওয়া হয়েছিল, তখন কেউ অভিযোগ করেনি। তবে এবার যদি এত অভিযোগ আসে, তাহলে পরবর্তী মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, “পর্যটক যেন কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার না হন—তা নিশ্চিত করতে পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, “পৌরসভাকে বলেছি এটি যেন সরিয়ে নেওয়া হয়। তারা সেটি সরিয়ে নেবে।”

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটনবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে এ ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি। মেরিন ড্রাইভকে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও চাপমুক্ত রাখতে প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ চান সবাই।