ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শান্তি না এলে ইরানের জন্য “বড় ট্র্যাজেডি” অপেক্ষা করছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এই হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা গভীরতর হয়েছে। ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র রাষ্ট্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষুব্ধ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তারা যেকোনো সময় মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালাতে পারে।

ইতোমধ্যে ইরান পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে। দেশটি দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে ইসরায়েলের দিকে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি মিসাইল ছুড়েছে ইরান।

জর্ডানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়া নিউজ জানিয়েছে, সর্বশেষ হামলায় আনুমানিক ৩০টি রকেট ছোড়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আরেকটি ঝাঁক শনাক্ত করেছে এবং জনগণকে হামলার স্থান ও ফুটেজ প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়েছে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, রোববার সকালে ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলের জরুরি বাহিনী সম্ভাব্য ১০টি লক্ষ্যস্থলে প্রস্তুতি নিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানের ড্রোনগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় নেয়, যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর আগেই ড্রোন ও মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল ইরান।

শনিবার রাতের এই মার্কিন হামলার পর গোটা মধ্যপ্রাচ্য আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে ভয়াবহ দিকে ঠেলে দিতে পারে।