মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার আগ্রাসন ও বেসামরিক সহিংসতায় উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। এই প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলকে ফের জাতিসংঘের ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে—শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘাতকালীন গুরুতর সহিংসতার অভিযোগে।
জাতিসংঘের ‘চিলড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ২,৯৫৯ শিশুর বিরুদ্ধে ৮,৫৫৪টি সহিংসতা চালিয়েছে। এতে নিহত হয়েছে ১,২৫৯ শিশু এবং আহত হয়েছে আরও ৯৪১ জন। পাশাপাশি ৪,৪৭০ শিশুর মৃত্যুর তথ্য যাচাই করছে সংস্থাটি। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নিহত হয় ৯৭ শিশু।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেন, শিশুদের ওপর এমন সহিংসতা তাঁকে স্তম্ভিত করেছে। জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরক অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে। তিনি শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বন্ধে ইসরায়েলকে আহ্বান জানান।
এছাড়া হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেড ও ইসলামিক জিহাদের আল-কুদস ব্রিগেডকেও দ্বিতীয়বারের মতো এই কালো তালিকায় রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১৮ বছরের নিচে শিশুদের বিরুদ্ধে ৪১,৩৭০টি সহিংসতা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। সহিংসতায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে কঙ্গো, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, হাইতি ও ইউক্রেন। সহিংসতা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি লেবানন, মোজাম্বিক, হাইতি, ইথিওপিয়া ও ইউক্রেনে।
