আগামী এক মাসের মধ্যে গুম বিষয়ক আইন প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান দিবস’-এর আগেই এই আইনসহ আরও কয়েকটি ভালো আইন দৃশ্যমান হবে।
নতুন আইনের আওতায় একটি শক্তিশালী গুম কমিশন গঠিত হবে, যা জাতিসংঘের গুম সংক্রান্ত কমিশনের প্রযুক্তিগত ও বুদ্ধিবৃত্তিক সহায়তায় কাজ করবে। তবে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করা হবে না বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবারের জন্য ‘নিখোঁজ সনদ’ ইস্যু করবে সরকার, যা দিয়ে তাদের সন্তানরা অফিসিয়াল কাজ পরিচালনা করতে পারবে। একইসঙ্গে পরিবারগুলো অভিযোগ জানানো ও প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার সুযোগ পাবে।
এর আগে জাতিসংঘের গুম সংক্রান্ত কার্যনির্বাহী দলের প্রতিনিধি গ্রাজিনা বারানোউস্কার নেতৃত্বে এক বৈঠকে অংশ নেন উপদেষ্টা। সেখানে পরিবারগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের তাগিদ দিয়েছেন জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা।
ড. আসিফ নজরুল আরও জানান, জাতিসংঘ বর্তমান গুম কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, আজ থেকে বারো বছর আগে জাতিসংঘের গুম কমিশন বাংলাদেশে আসতে চাইলেও আওয়ামী লীগ সরকার অনুমতি দেয়নি।
এ সময় সরকারি কর্মচারী আইন পুনর্বিবেচনার বিষয়েও সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন উপদেষ্টা।
জাতিসংঘের গুম বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও সদস্য আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ বর্তমানে চার দিনের সফরে ঢাকায় অবস্থান করছেন।