বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে ফিফার অর্থায়নে একটি “সেন্টার ফর এক্সিলেন্স” বা ফুটবল একাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়। তবে বনভূমি কেটে স্থাপনা নির্মাণের বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। ফলে নির্ধারিত জায়গায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। এখন নতুন জমি খুঁজছে বাফুফে। তবে সময়মতো কাজ শুরু না হলে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে গতকাল ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, “আমরা অনেক দিন ধরে ফিফার টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শুরু করতে চাচ্ছিলাম। জমি সমস্যার কারণে পিছিয়ে পড়েছি। এ নিয়ে ফিফারও চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজ শুরু না করতে পারি, তাহলে ফান্ড হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। তবে আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি, আমরা ফান্ড হারাব না—খুব শিগগিরই কাজ শুরু করতে পারব।”

তিনি আরও জানান, ফিফা বর্তমানে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় বিশ্বের ৭৫টি দেশে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে একাডেমি গড়ে তুলছে। সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এই প্রকল্পে আবেদন করেছে। বাফুফে সভাপতি বলেন, “আমি ফিফার ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি। তিনি আমাদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি চেয়েছেন। আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি যে, আমরা ফিফার সব শর্ত পূরণ করব। আমাদের লক্ষ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ফিফার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করা।”

তিনি আরও জানান, ফিফার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ চালু রয়েছে এবং তারা কিছু শর্ত পাঠিয়েছে, যেগুলো পূরণ করলেই প্রকল্প চূড়ান্ত হবে।
“আমরা চাই বাংলাদেশে ফিফা-স্বীকৃত একটি একাডেমি হোক,” বলেন তাবিথ আউয়াল।