আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এখনো সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস–এর সঙ্গে।
বর্তমানে তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে চুরি হয়ে বিদেশে পাচার হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার উদ্ধার–সংক্রান্ত সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
“বিগত শাসনামলে যেসব অর্থ চুরি হয়েছে, তার বড় একটি অংশ যুক্তরাজ্যে আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের উচিত বাংলাদেশের নতুন সরকারকে এতে সহায়তা করা। এটি নৈতিক বাধ্যবাধকতার বিষয়।”
তবে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, স্টারমারের সঙ্গে এখনো এমন কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা নেই, এবং এ বিষয়ে তারা আর মন্তব্য করতে চাননি।
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন,
“স্টারমারের সঙ্গে আমার সরাসরি কথা হয়নি। তবে আমি মনে করি তিনি এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করবেন—এটা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কারণ এসব চুরির টাকা।”
তিনি জানান, যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে কিছু তথ্য সহায়তা দিচ্ছে, তবে তিনি আশা করেন দেশটি ‘আরও উদ্যমী ভূমিকা’ পালন করবে।
🔍 টিউলিপ সিদ্দিক ও রাজনৈতিক বিতর্ক
এই প্রেক্ষাপটে আলোচনায় উঠে এসেছে স্টারমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি আওয়ামী লীগ–সংশ্লিষ্ট কিছু বিতর্কিত বিনিয়োগ ও সম্পর্কের অভিযোগের কারণে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ‘সিটি মিনিস্টার’ পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।
টিউলিপ, যিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি, সম্প্রতি ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন একটি চিঠির মাধ্যমে। তবে অধ্যাপক ইউনূস তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন,
“এটা একটা আইনি বিষয়। এটি ব্যক্তিগত আলোচনার নয়, বরং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলবে।”
🏛️ পটভূমি
২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে এক ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর অধ্যাপক ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই সরকার বেশ জোরালো অবস্থান নিয়েছে, এবং এর অংশ হিসেবেই এই লন্ডন সফর চলছে।
সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস