সিবিএন ডেস্ক ;

ঈদুল আজহার ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নেমেছে পর্যটকদের ঢল। ঈদের দ্বিতীয় দিন রোববার (৮ জুন) সৈকতের চারপাশ লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। দীর্ঘ ছুটি উপভোগে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা।

শনিবার (৭ জুন) ঈদের প্রথম দিন সকালে তুলনামূলক ভিড় কম থাকলেও বিকেল থেকেই সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। স্থানীয়রাও যোগ দেন উৎসবে, ফলে সাগরতীর হয়ে ওঠে মানুষের মিলনমেলা।

সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও মেরিন ড্রাইভজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। কেউ সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত, কেউ তুলছেন ছবি, কেউবা চড়ছেন বিচ বাইক ও ঘোড়ায়। সবচেয়ে বেশি উপভোগ হচ্ছে সূর্যাস্তের দৃশ্য।

ঢাকার মিরপুর থেকে আসা শফিকুল বারী বলেন, “পরিবার নিয়ে এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে।” অন্যদিকে গিয়াস উদ্দিন বলেন, “বিকেলে পর্যটক বেড়েছে, তবে তাতেই আনন্দ বেশি।” স্থানীয় আবুল কাশেম বলেন, “এমন পর্যটন কেন্দ্র পাশে থাকলেও ব্যস্ততায় আসা হয় না, এবার পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছি।”

হোটেল ব্যবসায়ীদের আশা, ঈদের ছুটিতে প্রতিদিনই কক্সবাজারে লাখো পর্যটক আসবেন। হোটেল বুকিং আশানুরূপ। এবার অন্তত ৫-৬ লাখ পর্যটক আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে শত কোটি টাকার পর্যটন ব্যবসা হবে।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় তিনস্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট ও জেলা পুলিশ। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে ওয়াচ টাওয়ার ও মোবাইল টিম মোতায়েন, পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশও টহল দিচ্ছে।

পর্যটকদের হয়রানি রোধে জেলা প্রশাসনের একাধিক মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাফিস ইনতেসার নাফি।