সিবিএন ডেস্ক ;
কক্সবাজার সিটি কলেজের থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগের ৩য় ব্যাচের ফাইনাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কলেজের অডিটরিয়ামে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে পাপেট শো “মালকাবানু” মঞ্চস্থ করে।
জানা গেছে, “মালকাবানু” একটি ব্যতিক্রমী পাপেট শো, যা প্রেম, বীরত্ব এবং নারীর আত্মপরিচয়ের এক অনবদ্য আখ্যান। পারস্য উপকথা ও রূপকথার অনুপ্রেরণায় রচিত এই নাটকটি পাপেট থিয়েটারকে একটি শক্তিশালী নাট্যশৈলীতে রূপান্তর করেছে।
প্রযোজনাটি রচনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল দুররানি সনি। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, শিল্পচিন্তা এবং নাট্যনির্মাণ দক্ষতা এই পাপেট শোকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। কাহিনির গঠন, চরিত্র নির্মাণ এবং দৃশ্যপট পরিকল্পনার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়া কোর্স তত্ত্বাবধায়ক মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু), থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হিসেবে এই প্রযোজনার গাইড, পরামর্শদাতা এবং একাডেমিক তত্ত্বাবধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও পেশাদার দিকনির্দেশনায় শিক্ষার্থীরা এই শো সফলভাবে মঞ্চস্থ করতে সক্ষম হয়।
পাপেট নির্মাণ হয়েছে লোকজ উপকরণ দিয়ে, নিপুণ হাতে নির্মিত বিভিন্ন চরিত্রভিত্তিক পাপেটের মাধ্যমে।
আলোক ও ছায়া প্রযুক্তির ব্যবহার করে মঞ্চে সৃষ্টি করা হয়েছে এক জাদুকরী বাস্তবতা।
“মালকাবানু” শোটি স্থানীয় সংস্কৃতি অনুরাগী, নাট্য গবেষক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। দর্শকরা জানান, এটি শুধুমাত্র একটি নাটক নয়, বরং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শিল্পভিত্তিক অভিজ্ঞতামূলক শিক্ষার মাইলফলক।
নাটকটি উপভোগ করার জন্য উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জসীম উদ্দিন, বিদ্যুৎসাহী সদস্য এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, বহিপরীক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডঃ মোহাম্মদ ইসরাফিল শাহিন (থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) এবং সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম আকতার উদ্দিন চৌধুরীসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
