নিজস্ব প্রতিবেদক
সুচিন্তা ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগের জোনাল সমন্বয়ক, সিডিএ’র সাবেক সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে নগরীর বায়েজিদ থানার আতুয়ার ডিপো এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান।
জিনাত সোহানার বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এছাড়া মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত চর্চা এবং জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমেও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।
তথ্য অনুযায়ী, তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স ও উইমেনস চেম্বারের সাবেক সদস্য এবং ফারমিন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি তিনি বিজিএমইএ’র সদস্য হিসেবেও যুক্ত ছিলেন। তার স্বামী মোহাম্মদ ইমরান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অতীতে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ছাত্রজীবনে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জানা গেছে, অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা ‘তাহের নাহার ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে ৩৫০টির বেশি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে অসহায় পরিবারদের মাঝে বিতরণ করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় জিনাত সোহানা এজাহারভুক্ত আসামি। মামলাটি কোতোয়ালী থানায় দায়ের করেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী। এতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ এবং ইসকনের কয়েকজন নেতার নামসহ মোট ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪০–৫০ জনকেও অভিযুক্ত করা হয়।
উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন, ইসকন নেতা প্রবীর চন্দ্র পাল, বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী শুভ কান্তি দাস এবং চট্টগ্রাম অ্যাডভোকেটস ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিপন কান্তি নাথ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
