কক্সবাজার সংবাদদাতা;

শনিবার (১০ মে) কক্সবাজারের রেজুখাল থেকে শুরু হওয়া ‘বৈশাখী ট্রায়াথলন-২০২৫’ প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে এবং জেল প্রশাসনের সহযোগিতায় দেশি-বিদেশি দুই শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নেন। সাঁতার, সাইক্লিং এবং দৌড়—এই তিনটি ইভেন্টের সমন্বয়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ছিল দুটি ফরম্যাট: প্রফেশনাল ও অ্যামেচার।

প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ সামছুজ্জামান আরাফাত মাত্র ১ ঘণ্টা ২৫ সেকেন্ডে তিনটি ইভেন্ট সম্পন্ন করে চ্যাম্পিয়ন হন। অন্যদিকে অ্যামেচার ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়নের মুকুট ওঠে মো. মহিউদ্দিনের মাথায়। নারী বিভাগে প্রফেশনাল গ্রুপে বিজয়ী হন ফেরদৌসী আক্তার মারিয়া।

রেজুখাল থেকে ৭৫০ মিটার সাঁতার দিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। খালের দু’পাশে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রস্তুতির মধ্যেই বাঁশির শব্দে সাঁতারুরা ঝাঁপিয়ে পড়েন জলে। সাঁতার শেষে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভে শুরু হয় সাইক্লিং পর্ব, যেখানে সমুদ্র ও পাহাড়ের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন প্রতিযোগীদের পথকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। এরপর আসে চূড়ান্ত ৫ কিলোমিটার দৌড়।

তীব্র গরম উপেক্ষা করে প্রতিযোগীরা সফলভাবে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করেন। অংশগ্রহণকারী রফিক বলেন, “মেরিন ড্রাইভে ট্রায়াথলন খুবই চ্যালেঞ্জিং, বিশেষ করে যখন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রীর ওপরে।” আরেক প্রতিযোগী কামরুল হাসান বলেন, “সাঁতার, সাইক্লিং আর দৌড় মিলিয়ে পুরোটা শেষ করতে পেরে দারুণ লাগছে।”

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম। তিনি বলেন, “বৈশাখী ট্রায়াথলন কক্সবাজারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি এবং সর্বসাধারণের শারীরিক-মানসিক সুস্থতার জন্য নতুন মাত্রা যোগ করেছে।”

প্রতিযোগিতায় পুরুষ ও নারী মিলিয়ে প্রফেশনাল এবং অ্যামেচার—দুই বিভাগে ২০০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। প্রত্যেক সফল অংশগ্রহণকারীকে দেওয়া হয় স্মারক মেডেল, ই-সার্টিফিকেট ও শীর্ষ ১০ জনকে প্রদান করা হয় ক্রেস্ট।