সিবিএন ডেস্ক:
আজকে আওয়ামী লীগের এই করুণ অবস্থার কারণ হলো, যারা আওয়ামী লীগের বড় বড় পদে বসে ছিলো সেই লোভী নেতাদের কারণে।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কোন জেলায় একটা পুর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয়নি। সভাপতি সাধারণ সম্পাদক দুইজন মিলে লুটপাট করে খেয়েছে ১৬টি বছর। আওয়ামী লীগের আদর্শবাদী নেতা কর্মীরা কিছু পায়নি নির্যাতন ছাড়া।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমি নিজেই নির্যাতিত হয়েছি। ইনকাম টেক্স এর নির্যাতন ডিজিএফআই এর নির্যাতন। কেন আমরা কি দোষ করেছিলাম, আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে।২৭ বছর প্রবাসে থেকে কোটি কোটি টাকা নেতাদের পিছনে খরচ করে এ নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে আমার।
এই দুঃখর কথা কারে বুঝাই, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতারা টাকা ছাড়া কিছু চিনেনা।
একটা কমিটি নিতে কোটি কোটি টাকার দিতে হয় নেতাদের।
আর সেই কমিটিরগুলোর বিভিন্ন পদ নিতে সদস্যদের দিতে হয় ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। ১০/২০ লক্ষ টাকা দিয়ে পদ কিনে সেই টাকা তুলতে যত ধরনের অপকর্ম করতে হয় করেছে এবং নিজেদের টাকার সাথে লাভের টাকাও, তারা তুলে নেয়। এই অপকর্মের কারণে সাধারণ মানুষ আওয়ামীলীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আওয়ামীলীগের যে কোন নেতাদের প্রশাসন ধরলে তার বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা স্বর্ণ উদ্ধার হয়।
নেতাদের এতো টাকা কেন লাগে? আজকে সেই টাকার কোন দাম আছে? যেখানে যাচ্ছে সেখানে সাধারণ মানুষের লাথি আর পঁচা ডিম খেতে হচ্ছে। আবার তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামীলীগের শত শত এমন নেতা কর্মীও আছে যারা দুঃখ কষ্টে দিনাতিপাত করে গেছে। কোন নেতা তাদের খবর রাখেনি। শত বঞ্চনা গঞ্জনা সহ্য করার পরও আজ তারাই এখনো মৃত আওয়ামীলীগের প্রাণ হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আমি আওয়ামী লীগের একটা পদ চেয়েছিলাম লক্ষ লক্ষ টাকা দিতে পারিনি বলে কোন পদ পদবী পাইনি। আল্লাহ যা করে ভালোই জন্যই করে। এমন একটা হওয়ার খুব দরকার ছিলো. আওয়ামিলীগকে শিক্ষা নেওয়াএ জন্য। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সাথে কথা বলতে পারতাম না অহংকারের কারণে। ছোট ছোট অনেক নেতা আছে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। আজকে সেই অহংকার কোথায়?
আল্লাহ বেশি দূরে না আল্লাহ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না।

-আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইসমাইল সিআইপির ফেসবুক ওয়াল থেকে…