সিবিএন ডেস্ক :

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের মতো কক্সবাজারের উখিয়া কলেজে তারুণ্যের উৎসব, বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদযাপনের পুরস্কার বিতরণ এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে উখিয়া কলেজ মাঠে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী খেলাধুলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও উখিয়া কলেজের এডহক কমিটির বিদ্যেৎসাহী সদস্য প্রফেসর ড. মোকতার আহমেদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। তাই পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, উখিয়া-টেকনাফ এলাকা মাদক সমস্যা কবলিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাদকমুক্ত রাখতে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হতে হবে।

অনুষ্ঠানে উখিয়া কলেজের অধ্যক্ষ শাহ আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফজলুল করিম, সিনিয়র সাংবাদিক ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট তোফায়েল আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও এডহক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি তৌহিদুল আলম তহিদ, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ আকবর, সবুজ শাহরিয়ার মোহাম্মদ এনাম, মোহাম্মদ আলী, আব্দু জলিল, নবী হোসেন, ড. গিয়াসউদ্দিন, নুরুল হক, আমানত উল্লাহ, শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ শাকিব, আরফাত চৌধুরী, জালাল উদ্দিন, ও আলতাফ হোসেন।

বক্তারা বলেন, শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহিষ্ণুতা, মনোবল ও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা অর্জন করতে পারে। এ জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এ ধরনের উদ্যোগে সহযোগিতা করতে হবে।

তারা আরও বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় মানের খেলোয়াড় তৈরি হবে। পাশাপাশি ভ্রাতৃত্ববোধ, নিষ্ঠা এবং সহনশীলতার মতো গুণাবলি বৃদ্ধি পাবে। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এবং একটি উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের সুস্থ, সবল ও কর্মঠ হিসেবে প্রস্তুত করতে এমন আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন খেলায় ১ম, ২য় এবং ৩য় স্থান অধিকার করা ৫০ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। এ সময় কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।