সমিতি পাড়ার বাসিন্দা বেলাল অভিযোগ করেন, সোনা মিয়া তার প্রভাব খাটিয়ে ফুটপাত দখল করে দোকান নির্মাণ করছে। এমনকি, বেলালের দোকানের লাগোয়া জমি দখল করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। বেলালের ভাষ্যমতে, “সোনা মিয়া বলেছে, যদি ২ লাখ টাকা চাঁদা না দিই, তাহলে আমার জমিও দখল করা হবে।”
স্থানীয়রা জানায়, ফুটপাতটি এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রতিদিন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্যও ব্যবহৃত হয়। এখানকার ফুটপাতেই শিক্ষার্থীরা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে এবং বিভিন্ন যানবাহন পার্কিং করা হয়। ফুটপাত দখল করে দোকান নির্মাণ করায় এসব কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা।
বেলালের ছেলে বলেন, “আমরা প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে আছি। তারা আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, দখলদারদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করা হোক।”
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা সোনা মিয়ার বক্তব্য: এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা সোনা মিয়া দাবি করেছেন, “আমি মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে মসজিদের স্বার্থে দোকান নির্মাণ করছি। এখানে কোনো জায়গা বা ফুটপাত দখল করা হচ্ছে না। মসজিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে ভালো জানেন।”
প্রশাসনের প্রতি আহ্বান এলাকাবাসী দাবি করছে, দ্রুত এই ফুটপাত দখল এবং দোকান নির্মাণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী পরিবার এবং এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।