সংবাদদাতা:
সাবেক ছাত্রদের মিলনমেলার নাম দিয়ে ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডার ও ফ্যাসিস্টের সহযোগীরা কক্সবাজারে জড়ো হওয়ার চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে। আর এজন্য তারা বেছে নিয়েছে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টের আলোচিত হোটেল গ্রীন নেচার রিসোর্টকে। রিসোটটিতে তারা ইতিমধ্যে ৮৮ জনের নামে বুকিংও দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই রিসোর্টটি গেল ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি মামুুেনর মালিকানাধীন। হঠাৎ করে এধরণের মিলনমেলার নামে গোপন সভার খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আলোচিত ওই রিসোর্টে কয়েকদিন আগেও নারী সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে হৈ চৈ হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালর্য়ে ২৫ তম ব্যাচের নাম দিয়ে চিহ্নিত ছাত্রলীগের ক্যাডাররা আগামী ১০ জানুয়ারি ওই রিসোর্টে জড়ো হওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। ওইদিন শেখ মুজিবুরের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসও।
এই ধরণের কর্মসূচির খবর জানাজানি হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালর্য়ে ২৫ তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা জানান, হঠাৎ করে এধরণের প্রোগ্রাম আয়োজন নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আয়োজকদের মধ্যে রয়েছে ছাত্রলীগের চিহ্নিত ক্যাডার ফজলুল হক টিপু, জহির উদ্দিন শামীম, এনামুল হক দিপু, আকরাম খান, শেখ কুতুবউদ্দিন, আশরাফ হোসেন, সাইফুল্লাহ শাহ, আবুল কালাম আজাদ, লিটন পাল, পংকজ দত্ত, গোকুল কান্তি ও মো. মোস্তাকিম। এরা পতিত হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগী হিসাবে চিহ্নিত। বর্তমানে এরা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৫ তম ব্যাচের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী মাসে ২৫ তম ব্যাচের বিশাল ‘ফ্যামিলি গেটটুগেদার’ রয়েছে। এর আগে ভর পর্যটন মৌসুমে এধরণের আয়েজন বিশেষ একটি দলের ক্যাডারদের জড়ো হওয়া বিশেষ উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছু নয়।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খান জানান, এধরণের আয়োজনের কথা শুনেছি। তবে শেষ মুহুর্তে তারা কর্মসূচি বাতিল করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। অনুমতি ছাড়া যে কোন ধরণের প্রোগাম করলে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।