আলোচিত রাজনীতিক ও টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, যিনি একসময় ‘ইয়াবা ডন’ নামে পরিচিত ছিলেন, এখন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের একটি ছোট্ট সেলে বন্দি জীবন যাপন করছেন। রাজকীয় জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই বিতর্কিত নেতা বর্তমানে সাধারণ কয়েদির মতো মেঝেতে বিছানা পেতে দিন কাটাচ্ছেন।

আবদুর রহমান বদি,   ফাইল ছবি

সিবিএন ডেস্ক:

 

রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে বদি হয়ে উঠেছিলেন আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের গডফাদার। বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক সাবেক এই এমপি ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে মাদক ব্যবসার অভিযোগ ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন হারান।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর, গত ২০ আগস্ট চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন বদি। তাকে প্রথমে কক্সবাজার, পরে চট্টগ্রাম, এবং সবশেষে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে পাঠানো হয়।

সাধারণ কয়েদির জীবন

কারাগারে সাবেক সংসদ সদস্যের জন্য কোনো বিশেষ সুবিধা নেই। কারাসূত্র জানিয়েছে, বদি সাধারণ কয়েদিদের মতো খাবার খাচ্ছেন এবং মেঝেতে শুয়ে সময় কাটাচ্ছেন। কক্সবাজার কারাগারে ডিভিশন সুবিধা পেলেও কাশিমপুরে তার আবেদন এখনও প্রক্রিয়াধীন।

কাশিমপুর কারাগারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “গাজীপুর জেলা প্রশাসক অনুমতি দিলে তিনি ডিভিশন সুবিধা পাবেন। এর আগে পর্যন্ত তাকে নিয়মিত বন্দিদের মতোই থাকতে হবে।”

ডিভিশন সুবিধা পেলে একটি বেড, টেবিল-চেয়ার, পত্রিকা এবং ফ্যান ব্যবহারের সুযোগ মিলবে। তবে এই সুবিধা না থাকায় বদিকে কঠোর বাস্তবতায় মানিয়ে নিতে হচ্ছে।

একসময়ের প্রভাবশালী নেতা এখন আইনের আওতায়

আব্দুর রহমান বদি রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে কক্সবাজার-টেকনাফ অঞ্চলে মাদকের কালো জগৎ গড়ে তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও তার স্ত্রী টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য, মাদক ব্যবসার কালো ছায়া থেকে পরিবারটি মুক্ত হতে পারেনি।