পেকুয়ায় বৃহত্তর তাফসীর ময়দানকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার, ব্যাপক প্রস্তুতি

ড. মিজানুর রহমান আজহারীর আগমনে পেকুয়ায় লক্ষ লক্ষ মুসল্লীর সমাগমের সম্ভাবনা

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৯:৪৬ , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৯:৪৬

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


রিয়াজ উদ্দিন,পেকুয়া:
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিরাপদে দেশে এসে পৌছেছে ড. মিজানুর রহমান আজহারী। দীর্ঘ ৫ বছর পর বাধাহীনভাবে আবারো মাতৃভূমিতে তাফসীরুল কোরআন মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন তিনি। উদ্বোধনী প্রোগ্রাম হিসেবে আজ শুক্রবার কক্সবাজারের পেকুয়ায় বৃহত্তর সাবেগুলদির তাফসীর ময়দানে আলোচনা পেশ করবেন।

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহিদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে ৮ম ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল আগামী ২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত বৃহত্তর সাবেকগুলদির তাফসীর ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মাহফিলে প্রধান মোফাচ্ছির হিসেবে বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজাহারী ও ইসলামী আলোচক মুফতী আমির হামজা সহ বিভিন্ন খ্যাতিমান আলেম ওলামাগণ উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখবেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সেক্রেটারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

এদিকে মাহফিলকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ, আনন্দ, উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ জানতে চাইলে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্ব- পেকুয়া আলীয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা হাসান রব্বানী, মাষ্টার জাহেদ উল্লাহ জানান, অন্য সব মাহফিল থেকে পেকুয়া সাবেক গুলদি তাফসীর মাহফিল এক ও অভিন্ন। সবচেয়ে সুন্দর বিষয় হচ্ছে মাহফিল ঘিরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ইউনিট ও র‌্যাব-১৫ এর মাঠ পরিদর্শন ও মাহফিল কমিটি প্রধানের সাথে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলেন। এখানে দেশের প্রায় সব শীর্ষ আলেমগণ উপস্থিত হোন। এবং সকলের প্রিয় বক্তাগণ উপস্থিত থাকেন। যার কারণে সবার মাঝে বিশেষ একটা আগ্রহ কাজ করে।

বৃহত্তর ওই তাফসির মাহফিলে নিরাপত্তা শৃংখলা ও সার্বিক বিষয়ে জানতে, পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী সাংবাদিকদের জানান, মাহফিল ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তার অংশ হিসেবে চর্তুপাশে সিসিটিভি, জেনারেটর লাইট, স্বেচ্ছাসেবক সহ শতাধিক ভলান্টিয়ার ও আইন শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মাহফিলে মিনিমাম ৫ লক্ষ মানুষ একসাথে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। দূর পাল্লা থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের গাড়ি পার্কিং, সূলভ মূল্য খাওয়া দাওয়া, অজু, এস্তেঞ্জার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা আসতে চাইলে বাঁশখালী হয়ে পেকুয়া চৌমুহনীর আগে মাহফিল গেইট। ঢাকা ও উত্তরবঙ্গ থেকে মাহফিলে আসতে- চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের হারবাং ইনানীর পরে বরইতলী রাস্তার মাথা হয়ে পেকুয়া চৌমুহনী। টেকনাফ- কক্সবাজার থেকে আগতদের জন্যে বানিয়ারছড়া হাইওয়ের পরে বরইতলী রাস্তার মাথা হয়ে চৌমুহনী সাবেক গুলদি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সাবেক গুলদি বৃহত্তর তাফসীর ময়দান ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন অসংখ্য শ্রমিক মাহফিলের প্যান্ডেল ও স্টেজ তৈরির কাজে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে দৃষ্টিনন্দন ব্যানার-ফেস্টুন টানানো সহ ব্যাপক পরিসরে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে। লোকমুখে প্রসিদ্ধ আছে যে, ঐতিহাসিক সাবেক গুলদির মাহফিল সবচেয়ে বড় ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, পেকুয়ার বৃহত্তর ঐতিহাসিক তাফসীর মাহফিল ঘিরে আইনশৃংখরা রক্ষা ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃংখরা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে