সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
সংশপ্তক, ক্লিন (CLEAN) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED) ১২টি এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এবং ২টি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ স্থায়ীভাবে বাতিল করার জাতীয় দাবিতে তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি সরকার এসব প্রকল্প স্থগিত করেছে। সংশপ্তক উল্লেখ করেছে যে এলএনজি একটি দূষণকারী জীবাশ্ম জ্বালানি যা বাংলাদেশের জলবায়ু লক্ষ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
“এলএনজি বাংলাদেশকে বহু বছরের কার্বন নিঃসরণ এবং আর্থিক অস্থিরতার ফাঁদে ফেলে দেবে,” বলেছেন সংশপ্তকের ডেপুটি ডিরেক্টর অগ্রদূত দাশগুপ্ত। “কক্সবাজারসহ পুরো দেশকে এমন নবায়নযোগ্য শক্তি সমাধানের প্রয়োজন, যা পরিবেশ এবং স্থানীয় জীবিকাকে রক্ষা করে।”
সংশপ্তক, ক্লিন (CLEAN) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED)-এর উদ্যোগে অদ্য ২৮ নভেম্বর-২৪ইং কক্সবাজার পৌরসভা চত্ত্বর থেকে আয়োজিত র‌্যালী পরবর্তী কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশে বক্তাগণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগের প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তারা দাবি করছে যে সৌরশক্তি এবং বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি শুধু পরিবেশবান্ধব নয়, এটি দেশের দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি নিরাপত্তা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করতে পারে।
সংশপ্তক নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে, যা সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক জলবায়ু প্রতিশ্রুতিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তারা আরও উল্লেখ করেছে যে এই নবায়নযোগ্য সমাধানগুলোই বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি স্বাধীনতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
উক্ত র‌্যালী ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য এডভোকেট মফিজুল আলম, নারী নেত্রী মার্টিন টিন, সাংবাদিক নেজাম উদ্দিন, এডভোকেট নাজিম উদ্দিন কাদের, আদিবাসী পরিষদ কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মং থেইনহলা রাখাইন, স্টুডেন্ট প্ল্যাট ফর্ম বাংলাদেশ এর খাইয়ুল ইসলাম রিফাত, কক্সবাজার আইন কলেজের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির হিমু, রিচি আক্তার ও পরিবেশ কর্মী রতন দাশ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন এইচআরডিএফ কক্সবাজার এর সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বাহাদুর।