সিবিএন ডেস্ক ;
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) তিন সদস্য নিহত হয়েছেন। রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে, যা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) নিশ্চিত করেছে।
আইএসপিআর সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার গহীন জঙ্গলে কেএনএ’র গোপন আস্তানায় সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন কেএনএ সদস্য নিহত হয়। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে, এবং ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে শুক্রমণি নতুন পাড়ায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা গোলাগুলির শব্দ শুনলেও নিহত বা আহতদের বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, শান্তি সংলাপ চলমান থাকার পরও ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল রাতে রুমা উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট ও ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়। পরদিন ৩ এপ্রিল, থানচি ইপজেলা সদরের সোনালী ও কৃষি ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে টাকা লুট হয়। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট ও তাদের সামরিক শাখা কেএনএ’র সদস্যরা এসব ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে শান্তি সংলাপ ভেঙে যায়।
এরপর থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে, যা এখনো চলমান। এর ফলে এই তিনটি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এছাড়া, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানে আত্মপ্রকাশ করে। কেএনএফ-এর সামরিক শাখা কেএনএ-এর শতাধিক সদস্য তিন বছর আগে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি দল ২০২১ সালে ফিরে আসার পর থেকে তারা পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।