সরওয়ার কামাল, মহেশখালী;

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ছামিরা ঘোনায় আদালতের নির্দেশে অবৈধ একটি বসতঘর উচ্ছেদ করলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপক ত্রিপুরা। ৩০ই অক্টোবর বিকালেম এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন তিনি।

জানা যায়- উপজেলার কালারমারছড়া ছামিরা ঘোনা গ্রামে স্থানীয় মোস্তাক আহমদ গংয়ের ১০শতক জমিতে জনৈক আবু জাফর দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে বসতঘর নির্মাণ করে বসতি করছেন। এ ঘটনায় ওই জমির ওয়ারিশ মোস্তাক আহমদ গং জোরপূর্বক দখলদার আবু জাফরকে বিবাদী করে ২০১৭ সালে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত মহেশখালী বরাবর মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সায়মা আফরীন হীমা মামলাটির বিচার সম্পন্ন করে গত ২রা অক্টোবর এক আদেশে বিরোধীয় জমির পুনরুদ্ধার পূর্বক বাদী মোস্তাক আহমদ গংকে বুঝিয়ে দিয়ে আদালতকে অবহিত করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহেশখালীকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

বিজ্ঞ আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষিতে উচ্ছেদ অভিযানকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক ত্রিপুরা, পুলিশের একটি টিম, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আবু আহম্মদ, এমইউপি মোহাম্মদ আলী, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সচেতন নাগরিকগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মাস্টার নূরে তজল্লী জানান, ভোক্তভোগিরা নিরীহ, শান্তিপ্রিয় এবং আইনমান্যকারী বিধায় প্রাপ্ত সম্পত্তি থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বেদখলে ছিল।যেহেতু অবৈধ দখলদার আবু জাফর প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী কায়দায় লোক। এমনকি তার বিরুদ্ধে খুনি মামলাসহ একাধিক মামলাও রয়েছে। যার দরুন মানেনা কোন ধরনের আইনকানুন। এদিকে ভোক্তভোগী মাওলানা লিয়াকত আলী দীর্ঘদিন আইনি লড়াই করে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক প্রাপ্ত সম্পত্তি ফিরিয়ে পাওয়ায় মহান আল্লাহ নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, ২২ সেপ্টেম্বর ২৪ইং তারিখ ১৬ নং আদেশ মূলে জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, পুলিশ সুপার, বিজ্ঞ (ভারপ্রাপ্ত) নেজারত বিভাগ কক্সবাজার ও জেলা নাজির কক্সবাজার বরাবর অনুলিপি প্রদান করেন। তার প্রেক্ষিতে ৩০ই অক্টোবর দখল বুঝিয়ে দিতে মহেশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে আদেশ দেন। ধার্য তারিখে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ আমলে নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরজমিনে উপস্থিত হয়ে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে মোস্তাক আহমদ গংকে উক্ত ১০শতক জায়গা লাল পতাকার চিহ্ন সহকারে বুঝিয়ে দেন। এতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া এ অভিযান সম্পন্ন করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান এবং উভয়পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায়ের স্বার্থে সতর্ক করেন এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত)কে বিষয়টি নজরে রাখার জন্য বলেন।

মহেশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপক ত্রিপুরা জানান, আদালতে আদেশের প্রেক্ষিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে এবং বিবাদির স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মুখে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।