সরওয়ার কামাল, মহেশখালী;
মহেশখালী-কুতুবদিয়ার রত্নগর্ভা মা ও মহেশখালী আদালতের প্রথম মহিলা আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছবুরা এমরানকে রক্তাক্ত হামলা ও মসজিদ নির্মাণে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে মহেশখালী- কুতুবদিয়ার সচেতন নাগরিক ও মহেশখালী বার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ২ অক্টোবর (বুধবার) উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, মা ফাউন্ডেশনের অন্যতম কর্ণধার মরহুম অ্যাডভোকেট এম এ এমরান ও অ্যাডভোকেট ছবুরা এমরানের সুযোগ্য বড় সন্তান তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার সৌরভ ও তৃতীয় সন্তান ইসলামি স্কলার মুহাম্মদ কামরান শাহরিয়ার শান্ত। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট এমরান পরিবারের আত্মীয় ভূট্টু।
এ মানববন্ধনে অ্যাডভোকেট সৌরভ বলেন, আমার বাবা অ্যাডভোকেট এম এ এমরান ২০২৪ সালে ঢাকায় স্ট্রোক মৃত্যু বরণ করেন। তখন আমরা ৫ ভাই ছোট ছিলাম। এতিম ৫ শিশু সন্তানদের নিয়ে আমার বিধবা মা মহেশখালী আদালতের প্রথম মহিলা আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছবুরা এমরান আমরা ভাইদের উচ্চ শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পরবর্তীতে ঢাকায় চলে যান। তিনি ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে মহেশখালীর পৌরসভাস্থ আমাদের স্বত্বীয় জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণের চিন্তা করেন। এরই আলোকে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমার বড় আব্বুর ছেলেরা সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে এসে আমার মা, ছোট ভাই শান্ত এবং শান্তর স্ত্রীর উপর হামলা চালায়। পাশাপাশি আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
এদিকে ইসলামি বক্তা মুহাম্মদ কামরান শাহরিয়ার শান্ত মানববন্ধন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। শান্ত বলেন, আমরা মহেশখালীর প্রথম গ্র্যাজুয়েট দ্বীপাঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারের অন্যতম কারিগর মরহুম আলী হোসেন বিএ’র নাতি এবং মহেশখালী আদালতের সিনিয়র আইনজীবী মরহুম অ্যাডভোকেট এম এ এমরান ও অ্যাডভোকেট ছবুরা এমরানের সন্তান। আমার বিধবা মা অ্যাডভোকেট ছবুরা এমরান মহেশখালী আদালতের প্রথম মহিলা আইনজীবী ও মহেশখালী কেজি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক ছিলেন। আমার মা একজন ইসলামিক নারী হিসেবে তিনি চিন্তা করলেন যে, এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন। তারই আলোকে মসজিদ নির্মাণ করতে গেলে এতে বাধা দেন আমার বড় আব্বুর সন্তানেরা। তারা গত ২৭ সেপ্টেম্বর লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে আমার মা এবং আমি ও আমার স্ত্রীকে আহত করে। আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ বিষয়ে মহেশখালীতে অবস্থানরত বাংলাদেশ নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট ও মহেশখালী থানা পুলিশকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও মহেশখালী থানা পুলিশ আমাদের সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
