সিবিএন ডেস্ক
আমি ১৫ বছর ধরে সরকারি প্রতিষ্ঠানে গান গাওয়ার কোনো সুযোগ পাইনি। কিছু বেসরকারি চ্যানেল আমাকে ডেকেছে, তবে তা খুবই অল্প এবং নিয়মিত নয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো ফোন করে জানতে চেয়েছেন কেন আমি ডাক পাচ্ছি না। হয়তো তাদের ভালোবাসা বা আমার শ্রোতাদের অনুরোধের কারণে তারা দুই-একটি অনুষ্ঠান আমাকে দিয়েছে। কিন্তু সরকারি জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো, যেমন বিটিভি, রেডিও স্টেশন, শিল্পকলা একাডেমি, আমাকে কখনো ডাকেনি।
গতকাল কুয়ালালামপুরের একটি ফাইভ স্টার হোটেলে বাংলাদেশে বন্যার্তদের সহায়তায় “মনির খান সন্ধ্যা” সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মনির খান। এই আয়োজনে মনির খান বিনা পারিশ্রমিকে গান গেয়ে বন্যার্তদের সহায়তা করেন।
মনির খান আরও বলেন, আমি তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও বিচারকদের মূল্যায়নের মাধ্যমে আমি এই সম্মান লাভ করেছি। আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে সব জায়গায়, সব অনুষ্ঠানে আমার একটি কার্ড বা দাওয়াত পাওয়ার অধিকার রাখি। কিন্তু আমি গত ১৫ বছর ধরে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি শুধু ভিন্ন মতের (বিএনপি) কারণে। এই মতাদর্শের জন্যই আমার কণ্ঠ রোধ করা হয়েছে, আমার সংগীতের পায়ে শিকল পরানো হয়েছিল। আমি এক ধরনের প্রাচীরের মধ্যে দিয়ে যুদ্ধ করেছি। যারা আমাকে ভালোবাসে এবং গানের মাধ্যমে আমাকে সমর্থন দিয়েছে, তাদের ভালোবাসাতেই আমি আজ সুস্থ আছি এবং ভালো আছি। মনির খান প্রবাসীদের আয়োজনে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে গর্বিত এবং সহযোগিতা করা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান, দাতু মো. সেলিম, মো. কাউসার হোসেন, কমিউনিটির নেতা মো. জসিম উদ্দিন, ব্যবসায়ী মো. রমজান আলী, মো. শরিফুল ইসলাম, মো. রাসেল রানা, মো. রিপন মিয়া, মো. রমজান মিয়া, নূরে সিদ্দিকী, মো. বিল্লাল মিয়া এবং সোহাগ সহ শতাধিক প্রবাসী। এসময় মনির খানের সংগীত সন্ধ্যায় সঙ্গীত পরিবেশন করে বঙ্গভয়েস ব্যান্ডদল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।