এইচ এম রুহুল কাদের,চকরিয়া:

গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর চকরিয়া উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে রয়েছেন। দু-একজন এলাকায় থাকলেও তারা সতর্কভাবে চলাফেরা করছেন। এরা আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন নাগরিক সমাজ। সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে,চকরিয়া উপজেলায় ১৮টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। যার অধিকাংশ চেয়ারম্যান ও সদস্য আওয়ামী লীগের পদবিধারি নেতা-কর্মী । ১৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় বরইতলী ও খুটাখালী এই দুই ইউনিয়নে জামায়াতের সমর্থক চেয়ারম্যান রয়েছেন । তারা বাদে প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থিত। দুএকজন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান থাকলেও পরবর্তীতে তারা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পাদ পদবী ভাগিয়ে নেন। কয়েকজন ছাড়া আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানরা এখন কেউ এলাকায় নেই।

স্থানীয় জনসাধারণরা বলেছেন, আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যানরা জনরোষের ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। কারণ প্রায় চেয়ারম্যানই আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতা বা সমর্থক হিসাবে পরিচিত। তারা ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকায় নাগরিকসেবা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। জনগণ প্রয়োজনের সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাচ্ছেন না। এতে ভোগান্তির মাত্রা বাড়ছে। অপরাধপ্রবণতাও বেড়ে চলেছে।

বেশকয়েকজন সচিব ও স্থানীয় নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শাহারবিল ইউনিয়নের নবী হোছাইন, চিরিংগা ইউনিয়নের জামাল হোছাইন, ডুলহাজারা ইউনিয়নের হাসানুল ইসলাম আদর,কৈয়ারবিলের মক্কি ইকবাল,হারবাং ইউনিয়নের মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজসহ অধিকাংশ চেয়ারম্যান গত ৫ আগষ্ট থেকে একদম অনুপস্থিত।

তবে দুয়েকজন চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা নিয়মিত পরিষদে বসেন বলে মন্তব্য করেন।

এর প্রেক্ষিতে গত ২৭ আগষ্ট খুটাখালী ও বরইতলী ইউনিয়ন ছাড়া অবশিষ্ট ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে জন্ম ও মৃত্যু সনদ প্রদানের জন্য একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম প্রজ্ঞাপন জারি করেন।